নওগাঁর সাপাহারে মাতৃছায়া ছাত্রাবাস থেকে সুমি আক্তার (১৭) নামে এক গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় সাপাহার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
বুধবার (২৩ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের সৌদি মসজিদের পিছনে (মাস্টারপাড়া) মাতৃছায়া নামের একটি ছাত্রবাসে এ ঘটনাটি ঘটেছে। নিহত গৃহবধু পত্নীতলা উপজেলার দিবর উত্তরপাড়া গ্রামের আলী হোসেনের মেয়ে ও সাপাহার উপজেলার সীমান্তবর্তী উত্তর পাতাড়ী গ্রামের সেলিমেরর স্ত্রী বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার উত্তর পাতাড়ী গ্রামের তফিজুল ইসলামের ছেলে সেলিম (২৫) এর সাথে প্রায় ৯ মাস পূর্বে সুমির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সেলিম সুমিকে নিজের গ্রামের বাড়ীতে রাখে আর সেলিম উপজেলা সদরের মাস্টারপাড়া এলাকায় মাতৃছায়া ছাত্রাবাসে থেকে চাকুরী করত।
মাঝে মাঝে সেই ছাত্রাবাসে সেলিম তার স্ত্রী সুমি কে নিয়ে আসতো বলে জানান স্থানীয়রা।
নিহত সুমির বাবা জানান, গত মঙ্গলবার (২২ জুন) তাদের কোন এক আত্মীয়ের মৃত্যু হলে তার বাবা মেয়েকে জামাইয়ের গ্রামের বাড়ী থেকে সেই মৃত আত্মীয়ের বাড়ী নিয়ে যায়।
ঘটনার দিন বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সুমির বাবা তার মেয়েকে জামাইয়ের বাড়ী পৌঁছে দেয়ার জন্য সাপাহার সদরের জিরো পয়েন্টে আসে। সেখান থেকে তার জামাতা সেলিমের সাথে তার মেয়েকে পাঠিয়ে দেয়। এ সময় সেলিম তার স্ত্রীকে মাতৃছায়া ছাত্রাবাসে নিয়ে আসে।
হঠাৎ সন্ধ্যার দিকে সেলিম তার শশুরকে মোবাইল ফোনে জানায়, ছাত্রাবাসে তার স্ত্রী সুমি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ভাবে তার শশুরবাড়ী ও সূমীর পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। এ সময় কৌশলে সেলিম সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক সাপাহার থানা পুলিশ ঘটনাস্থ্যল থেকে সুমির বাম হাত সুতলি দড়ি দিয়ে বাধা এবং গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।
ঘটনার সংবাদ পেয়ে রাত ১০টার দিকে নওগাঁ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেএমএ মামুন খান চিসতি (প্রশাসন), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান (ক্রাইম) এবং সাপাহার সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) বিনয় কুমার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ বিষয়ে সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তারেকুর রহমান সরকার জানান, বিষয়টি নিয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।