আশুলিয়ায় অভিযান চালিয়ে ১৪ জন জুয়াড়িকে আটক করেছে র্যাব-৪। এ সময় তাদের নিকট হতে জুয়া খেলার সরঞ্জাম সহ নগদ ৫ লাখ ৪৪ হাজার ৬৫০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
বৃহষ্পতিবার (১০ জুন) বিকেলে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-৪।
এরআগে, বুধবার (৯জুন) দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে আশুলিয়ার ডেন্ডাবর মধ্যপাড়া এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলো- গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী থানার দৌলতপুর গ্রামের সোলেম উদ্দিনের ছেলে জয়নুল ইসলাম (৩২), আশুলিয়া থানার ধলপুর গ্রামের মৃদ সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে ইউনুস আলী (৩৬), নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা থানার রায় মাধব গ্রামের জগৎ চন্দ্র দাসের ছেলে সুভাষ চন্দ্র দাস (৩৮), আশুলিয়ার ডেন্ডাবর পল্লীবিদ্যুৎ এলাকার মৃত রফিক উদ্দিনের ছেলে আসলাম (৪২), মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানার সুবুদ্ধি গ্রামের মৃদ মোকশেদ ব্যাপারীর ছেলে মোঃ বাশার হোসেন (৩৮),
আশুলিয়ার দুর্গাপুর কাঠগড়া বাজার এলাকার মোঃ বাচ্চু মন্ডলের ছেলে কামরুল হাসান (২৯), রংপুর জেলার পীরগঞ্জ জেলার কাশেমপুর গ্রামের নুর মিয়ার ছেলে মোঃ বাবু মিয়া (২৮), ঢাকার ধামরাইয়ের আমতা গ্রামের মৃত রইস উদ্দিনের ছেলে কালু মিয়া (৪০), আশুলিয়ার ডেন্ডাবর পল্লীবিদ্যুৎ উত্তরপাড়া এলাকার সব্দুল আলীর ছেলে জসিম (৩২) ও ডেন্ডাবর উত্তরপাড়া এলাকার মৃত ওয়াজেদ উদ্দিনের ছেলে কাজিম উদ্দিন (৫২)। এছাড়াও বরিশাল জেলার মেহেন্দীগঞ্জ ভাষানচর গ্রামের মৃত সেকেন্দার ব্যাপারীর ছেলে মহিউদ্দিন (৪৫), টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর জেলার মোল্লাবাড়ির গ্রামের আছর আলীর ছেলে আব্দুল হামিদ (৩২), ময়মনসিংহ জেলার বালুয়াঘাট থানার গাবরাখালি গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে আব্দুল জলিল (৩৬) ও বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ ভুতুরদিয়া গ্রামের মৃত মোতালেব হাওলাদারের ছেলে জসীম হাওলাদার (৪৩)।
র্যাব জানায়, বুধবার দিবাগত রাতে আশুলিয়ার ডেন্ডাবর মধ্যপাড়া এলাকায় কিছু অসাধু লোকজন জুয়া খেলার আয়োজন করে যুব সমাজকে নষ্ট করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিপিসি-২, র্যাব-৪ এর কোম্পানী অধিনায়ক লেঃ কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খাঁন এর নেতেৃত্বে র্যাব-৪ এর একটি দল অভিযান পরিচালনা করে। পরে সেখান থেকে ১৪ জুয়াড়িকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের নিকট হতে জুয়া খেলার ৬ ছেট প্লেয়িং কার্ড, ১৭টি মোবাইল ফোন সহ জুয়া খেলার নগদ ৫ লাখ ৪৪ হাজার ৬৫০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে সিপিসি-২, র্যাব-৪ এর কোম্পানী অধিনায়ক লেঃ কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খাঁন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আটকরা দীর্ঘদিন ধরে জুয়া খেলে আসছিলো। আসামীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত জুয়া আইনে মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
অদূর ভবিষ্যতে র্যাব-৪ এরুপ জুয়া বিরোধী বিশেষ নজরদারি এবং অভিযান অভ্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
#ইনিউজ৭১/জিয়া/২০২১
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।