লকডাউন চলাকালীন ফেনীতে পুলিশ-যুবক হাতাহাতির ঘটনায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) যশমন্ত মজুমদারকে ক্লোজড করা হয়েছে।
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাইনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ওই যুবক মানসিকভাবে অসুস্থ। সে কারণে তিনি এ ধরনের আচরণ করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ আরও দায়িত্বশীল আচরণ করতে পারতো।
পুলিশ সুপার মাইনুল আরও জানান, দায়িত্বশীল আচরণ না করায় ঘটানাস্থলে নিয়োজিত এসআই যশমন্ত মজুমদারকে শাস্তিমূলকভাবে ফেনী মডেল থানা থেকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে ফেনীর পুলিশ সুপার নুরুনবী জানান, এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে একজন উপ-পরিদর্শক, একজন সহকারী উপ-পরিদর্শক ও একজন কনস্টেবলকে ক্লোজড করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে বিভাগীও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গেছে, ফেনী শহরের ট্রাংক রোডের মডেল হাই স্কুলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে সেটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার বিকেলে শহিদুল ইসলামকে লকডাউন চলাকালীন রাস্তায় বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করলে পুলিশের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এসময় তিনি পুলিশকে প্রশ্ন করেন এটাকি পুলিশি রাষ্ট্র হয়ে গেছে নাকি? একপর্যায়ে পুলিশ তাকে মারতে গেলে তিনিও পুলিশকে মারধর করতে থাকেন।
ওই সময় কেউ একজন ঘটনাটির ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে ছেড়ে দিলে মুহূর্তে তা ভাইরাল হয়ে যায়। শহিদুল ইসলামের বাড়ি ফেনী সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের ভূঞার হাট।
পুলিশের সঙ্গে মারামারিতে লিপ্ত হওয়া ওই যুবকের নাম শহিদ। তিনি ফেনী সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং যুবলীগের সক্রিয় কর্মী। এ ঘটনায় আটক করে তাকে হাজতে রাখা হয়। পরে তার স্বজনদের ডেকে আনলে তারা তার মানসিক সমস্যার কথা জানান। পরে মুচলেকা নিয়ে তাকে পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়।
#ইনিউজ৭১/জিয়া/২০২১
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।