মানুষের যে কোনো চাওয়া-পাওয়া মহান আল্লাহ তাআলা নিজ অনুগ্রহে পরিপূর্ণ করেন। কুরআনুল কারিমে ঘোষণাও এমনই। আল্লাহ তাআলা বলেন, ’তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।’ তবে দুই কাজে বান্দার কোনো প্রার্থনা আল্লাহ তাআলা কবুল করেন না।
হজরত জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, কোনো ব্যক্তি (আল্লাহর কাছে) কোনো কিছু প্রার্থনা করলে আল্লাহ তাআলা তাকে তা দান করেন। অথবা তদানুযায়ী তার থেকে কোনো অমঙ্গল প্রতিহত করেন। যতক্ষণ না সে কোনো পাপাচারে লিপ্ত হয় বা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য দোয়া করে।’ (তিরমিজি)
হজরত উবাদা ইবনুস সামিত রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদিসে আরও উল্লেখ কর হয়েছে যে, উপস্থিত লোকদের একজন বলল, তাহলে আমরা খুব বেশি বেশি দোয়া করতে পারি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘আল্লাহ তাআলা তার চেয়েও বেশি বেশি কবুলকারী।’ (তিরমিজি)
ও বেশি বেশি কবুলকারী।’ (তিরমিজি) সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, মহান আল্লাহকে বেশি স্মরণ করা। পাপাচার থেকে বিরত থাকা। আত্মীয়তার সুসম্পর্ক নষ্ট না করা। অন্যায় বা গোনাহের আবদার নিয়ে আল্লাহর স্মরণাপন্ন না হওয়া। তবেই আল্লাহ তাআলা বান্দার সব চাওয়া পরিপূর্ণ করে দেবেন। যাবতীয় অমঙ্গল ও অকল্যাণ থেকে হেফাজত করবেন।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের ওপর আমল করার মাধ্যমে দোয়া কবুলের ধরনা দেয়ার তাওফিক দান করুন। দুনিয়া কামিয়াবি ও পরকালের সফলতা লাভে তাঁরই দেখানো পদ্ধতিতে জীবন পরিচালনা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।