
প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২০, ১৫:৫৩

আধ্যাত্মিক সাধনা হিসেবে রোজা বা উপবাস পৃথিবীর প্রায় সব প্রাচীন ধর্মে স্বীকৃত। যদিও প্রত্যেক ধর্মের রোজার রূপরেখা ও বিধি-বিধান ভিন্ন ভিন্ন, তবু মৌলিকত্বের বিচারে সবার ভেতর কিছু অভিন্নতা খুঁজে পাওয়া যায়। বিংশ শতাব্দীর বিশিষ্ট দায়ি ও চিন্তাশীল আলেম সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভি (রহ.) তাঁর ‘আরকানে আরবাআ’ বইয়ে পৃথিবীর প্রধান প্রধান ধর্মের রোজার রূপরেখা তুলে ধরেছেন। গুরুত্বপূর্ণ লেখাটির ভাষান্তর করেছেন আতাউর রহমান খসরু
রাত জেগে নিজের ধর্মীয় গ্রন্থ পাঠ করে এবং ধ্যান করে। এসব উৎসবের ভেতর সবচেয়ে প্রসিদ্ধ উৎসব হলো বৈকুণ্ঠ একাদশী। যা দেবতা বিষ্ণুর সঙ্গে সম্পৃক্ত। তবে শুধু বিষ্ণুর পূজারিরা নয়; সনাতন ধর্মের অন্য দেবতার পূজারিরাও এই দিনে উপবাস ব্রত লালন করে। বৈকুণ্ঠ একাদশী উৎসবে দিনে উপবাস পালন করা হয় এবং রাতে পূজা-অর্চনা হয়। কিছুদিন এমন, যা নারীদের সঙ্গে সম্পৃক্ত। নারীরা এমন সব দেবীর পূজা করে, যারা ভগবানের নারীবৈশিষ্ট্য নিয়ে বিভিন্ন রূপে আত্মপ্রকাশ করেছে। গুরুত্ব বোঝাতে যাকে ব্রত বলা হয়—যা আত্মশুদ্ধি ও আত্মিক উন্নতির জন্য পালন করা হয়। (আউটলাইনস অব হিন্দুজম, চ্যাপ্টার ৪, সেকশন ৬)

রোজার বিধান ও নিয়ম-নীতি প্রণয়নের কাজ সবচেয়ে বেশি হয়েছে খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ের মধ্যে। সে সময় গির্জা থেকে একটি বিধান ও নির্দেশনা জারি করা হয়। চতুর্থ শতকে রোজার ব্যাপারে কঠোরতা অনেক বেশি বেড়ে যায়। ফলে তা সহনীয় পর্যায়ে আনার জন্য বড়দিনের আগে দুদিন রোজার জন্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়—যা মধ্যরাতে শেষ হতো। অসুস্থতার কারণে যারা এ দুই দিন রোজা রাখতে অপারগ ছিল, তাদের শনিবার রোজা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়। খ্রিস্টীয় তৃতীয় শতকে রোজার দিন নির্ধারণ করা হয়। রোজার শেষ সময় নিয়েও মতভিন্নতা ছিল। কেউ মোরগ ডাকার সঙ্গে ইফতার করত এবং কেউ কেউ অন্ধকার গভীর হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করত।