যে চারটি বৈশিষ্ট্য মানুষকে বিপদমুক্ত করে দেয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ২৪শে ডিসেম্বর ২০১৯ ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন
যে চারটি বৈশিষ্ট্য মানুষকে বিপদমুক্ত করে দেয়

ঈমান মানুষের অমূল্য সম্পদ। তাইতো ঈমানদার মুমিন-মুসলমান দুনিয়া ও পরকালের কোনো বিপদকেই পরোয়া করে না। মুমিন বান্দা যদি নিজের মধ্যে ৪টি গুণের বাস্তবায়ন করতে পারে তবে সে দুনিয়া ও পরকালে যাবতীয় বিপদ থেকেই হবে মুক্ত ও স্বাধীন।

হাদিসে ঘোষিত বিষয় ৪টি হলো-
>> সত্য বলা;
>> আমানত রক্ষা করা;
>> স্বভাব-চরিত্র বা আচার-ব্যবহার ভালো হওয়া; আর
>> রিজিক হালাল হওয়া।

হাদিসে পাকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তা সুস্পষ্টভাবে বণর্না করেছেন-
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘৪টি গুণ বা বৈশিষ্ট্য যদি তোমাদের মধ্যে থাকে তবে দুনিয়ায় (কী পেলে আর কী পেলে না এসব বিষয়ে) তোমাদের কোনো পেরেশান হওয়ার দরকার নেই। আর তাহলো-

>> হিফজু আমানাহ বা আমানত রক্ষা করা
দুনিয়ায় মুমিনের কাছে যে আমানতই আসুক না কেন তার খেয়ানত না করা। অর্থাৎ যে কোনো আমানত যথাযথ রক্ষা করা। নিজেকে কোনো ধরনের দুর্নীতিতে না জড়ানো। অন্যের হক নষ্ট করা থেকে বিরত থাকা। নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্বের ব্যাপারে অবহেলা না করা। এক কথায় যার যার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ পালনের মাধ্যমে আমানত রক্ষা করা। 

>> সিদকু হাদিসিন বা সত্য কথা বলা
সিদকু হাদিসিন এর দ্বারা মানুষকে মিথ্যা পরিহার করে দুনিয়ার কথা ও কাজে সত্যবাদী হওয়ার কথা বলা হয়েছে। দুনিয়াতে যে ব্যক্তি সত্যবাদী হবে, মিথ্যা কথা বলবে না। তার জন্য শুধু দুনিয়াই নিরাপদ নয় বরং তার আখেরাতের সফলতাও সুনিশ্চিত।

>> হুসনে খালেক্বাতিন : আখলাক-চরিত্র সুন্দর করা
মানুষের নিরাপদ জীবনের লাভের তৃতীয় হচ্ছে আখলাক বা চরিত্রকে সুন্দর করা। সব ভালোর সঙ্গে মানুষের চরিত্র বা ব্যবহারে যেন গড়মিল না হয়। যখনই মানুষ দুনিয়ার প্রতিটি ভালো কাজের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে নেয় তবেই সে হবে হুসনে খালেক্বাতিন। 

>> ইফ্‌ফাতু ফি তুমাতিন বা হালাল খাবার গ্রহণ
বিপদমুক্ত গুণের অধিকারী ব্যক্তির চতুর্থ বৈশিষ্ট্য হলো হালাল খাবার গ্রহণ করা। কারণ ইবাদতসহ যে কোনো কাজ গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য হালাল খাবার গ্রহণের বিকল্প নেই।

এ ৪টি গুণ বা বৈশিষ্ট্য অর্জন করা প্রত্যেক ঈমানদার মুসলমানের জন্য আবশ্যক। আলেম কিংবা জেনারেল শিক্ষিত যে ব্যক্তিই এ গুণ বা বৈশিষ্ট্যগুলো অর্জনে সফল হবে, দুনিয়াতে যেমন তার কোনো বিপদ বা হতাশা থাকবে না তেমিন পরকালেও থাকবে না কোনো দুশ্চিন্তা বা পেরেশানি।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষিত ৪টি গুণ বা বৈশিষ্ট্য নিজেদের মধ্যে বাস্তবায়ন করার তাওফিক দান করুন। এ ৪টি আমলে নিজেদের রাঙিয়ে তোলার তাওফিক দান করুন। দুনিয়া ও পরকালের যাবতীয় পেরেশানি থেকে মুক্ত রাখুন। আমিন।

ইনিউজ ৭১/এম.আর