প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘দোয়া ইবাদতের মূল।’ অন্য হাদিসে বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে কোনো কিছু চায় না বা দোয়া করে না, আল্লাহ তাআলা ওই বান্দার প্রতি রাগান্বিত হন।’ আল্লাহ তাআলা সে বান্দাকেই বেশি ভালোবাসেন যে বান্দা গোনাহ করার পর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। তার প্রয়োজন পূরণে দোয়া করে। কিন্তু দোয়া করার সময় সাধারণ মানুষ একটি ছোট্ট ভুল করে থাকে। যা কোনোভাবে কামন্য নয়। মানুষের উচিত দোয়া করার আগে প্রথমেই আল্লাহ তাআলার প্রশংসা ও গুণ বর্ণনা করা। তারপর প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি দরূদ পেশ করা। কিন্তু মানুষ আল্লাহর প্রশংসা করলেও অনেক সময় ভুলবশতঃ প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি দরূদ পেশ করে না। এ ছোট্ট ভুলটির বিষয়ে হাদিসে এসেছে-
হজরত ফাদালাহ ইবনে উবাইদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক ব্যক্তিকে নামাজের মধ্যখানে দোয়া করতে শুনলেন, কিন্তু সে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর দরূদ পাঠ করেননি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, এ ব্যক্তি তাড়াহুড়া করছে। তারপর তিনি তাঁকে (ওই ব্যক্তিকে) ডাকলেন এবং তাকে বা অন্য কাউকে বললেন, তোমাদের কেউ (সালাত) নামাজ আদায় করলে সে যেন আল্লাহর প্রশংসা ও তাঁর গুণগান করে। তারপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর দরূদ পাঠ করে। তারপর তার মনের কামনা অনুযায়ী দোয়া করে। (তিরমিজি, আবু দাউদ)
সুতরাং দোয়া করার আগে আল্লাহর গুণগান ও প্রশংসা করার পর প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর দরূদ পেশ করা জরুরি। প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নির্দেশনা মতে তাড়াহুড়া না করে আল্লাহর প্রশংসা ও প্রিয় নবির দরূদ পাঠের মাধ্যমে দোয়া করলে সে দোয়া অতি তাড়াতাড়ি দোয়া কবুল হয়। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ধীরস্থিরভাবে আল্লাহর প্রশংসা ও গুণগান করার পর প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দরূদ পড়ে মনের একান্ত প্রার্থনাগুলো তার দরবারে পেশ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।