
প্রকাশ: ১০ জুন ২০১৯, ১৫:২৩

রমজানের পরেই শাওয়াল মাস আসে। এ মাসের ১ তারিখ মুমিন মুসলমান রোজা ঈদ উৎসব পালন করে। ঈদের রাতের যেমন অত্যাধিক ফজিলত ও মর্যাদা রয়েছে। তেমনি এ মাসের ৬টি রোজা পালনেও রয়েছে অনেক সাওয়াব ও ফজিলত।
>> হজরত আবু আইয়ুব আনসারি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে রমজানের রোজা পালন করলো, অতঃপর তার অনুগামী হয়ে শাওয়ালের ৬টি রোজা রাখলো, তা পুরো বছরের রোজার ন্যায়।' (মুসলিম)
>> হজরত সাওবান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, রমজানের রোজা ১০ মাসের সমতুল্য আর (শাওয়ালের) ৬ দিনের রোজা ২ মাসের সমতুল্য। এটাই পূর্ণ এক বছরের সিয়াম।'
>> অপর এক বর্ণনায় কুরআনের সুরা আল-আনআমের ১৬০নং আয়াতের উদ্ধৃতি দিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে যে, যে ব্যক্তি ঈদ-উল-ফিতরের পর ৬ দিন রোজা পালন করবে তা পূর্ণ বছরে পরিণত হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, যে সৎকাজ নিয়ে এসেছে, তার জন্য হবে তার ১০ গুণ।' (মুসনাদে আহমদ, ইবনে মাজাহ, দারেমি, ইবনে খুযায়মা, ইবনে হিব্বান ও সুরা আল-আনআম : আয়াত ১৬০)
হাদিসের শিক্ষা ও করণীয়

শুকরিয়া সেই মহান প্রভুর যিনি-
কেননা নফল রোজা আদায়ের মাধ্যমে ফরজ রোজার ছোট-খাটো ত্রুটিসমূহ দূর হয়ে যায়। মানুষ ফরজ রোজা রাখা অবস্থায় কথা ও কাজে কিংবা অযথা বাক্যালাপে, চলাফেরা কুদৃষ্টিতে, খাওয়া-দাওয়ায় অসাবধানতাবশতঃ হারাম খাদ্য গ্রহণে রোজার যে ক্ষতি সাধিত হয়, নফল রোজা সেসব ভূল-ভ্রান্তির কাফফারা হয়ে যায়। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রমজানের আগে-পরের রোজা আদায় করার মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করা ও প্রতিদান লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
ইনিউজ ৭১/এম.আর