প্রকাশ: ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:১৬
দয়া ও মানবিকতা ইসলামের মূল শিক্ষাগুলোর অন্যতম। কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ দয়া প্রদর্শনকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত ১৩৪) এই আয়াতের মাধ্যমে বোঝা যায় যে মানুষ যদি একে অপরের প্রতি দয়া প্রদর্শন করে তবে তা আল্লাহর সন্তুষ্টির কারণ হয়।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যারা পৃথিবীর মানুষের প্রতি দয়া করে, আসমানের মালিক তাদের প্রতি দয়া করেন।’ (তিরমিজি) অর্থাৎ, দয়া এমন এক গুণ যা মানুষের অন্তরকে পরিশুদ্ধ করে এবং সমাজকে শান্তিময় করে তোলে।
মানবিকতা কেবল দান-খয়রাতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। একে অপরের প্রতি সহমর্মিতা, বিপদে পাশে দাঁড়ানো, অসহায়দের সাহায্য করা—সবই মানবিকতার অন্তর্ভুক্ত। ইসলামে বলা হয়েছে, যারা অন্যের কষ্ট লাঘব করে, আল্লাহ কেয়ামতের দিন তাদের কষ্ট লাঘব করবেন।
রাসুল (সা.) আরও বলেছেন, ‘তোমরা দয়া করো তাদের প্রতি যারা পৃথিবীতে রয়েছে, তাহলে আসমানের অধিপতি তোমাদের প্রতি দয়া করবেন।’ (আবু দাউদ) এ থেকে স্পষ্ট হয় যে দয়া করা ঈমানের নিদর্শন।
মানবিকতার আরেকটি দিক হলো প্রাণীর প্রতিও দয়া প্রদর্শন। হাদিসে এসেছে, এক নারীকে একটি বিড়ালের প্রতি নির্দয়তার জন্য জাহান্নামে দণ্ডিত করা হয়েছে, আরেকজনকে কুকুরকে পানি পান করানোর জন্য জান্নাত দান করা হয়েছে।
আধুনিক সমাজে দয়া ও মানবিকতার প্রয়োগ আরও জরুরি। কারণ স্বার্থপরতা, সহিংসতা এবং অমানবিকতা সমাজে অশান্তি বাড়াচ্ছে। ইসলামী দৃষ্টিতে, মানবিক গুণাবলি ছাড়া প্রকৃত মুমিন হওয়া যায় না।
অতএব, দয়া ও মানবিকতা কেবল ব্যক্তিগত গুণ নয় বরং একটি সামাজিক দায়িত্ব। ইসলাম শেখায়—মানবতার সেবা করলেই আল্লাহর সন্তুষ্টি পাওয়া যায়।