পবিত্র কুরআন মানবজাতির জন্য আল্লাহতায়ালার বিশেষ এক নেয়ামত। এটি শুধু আধ্যাত্মিক জ্ঞানই নয়, বরং মানবজীবনের সব সমস্যার সমাধান। রাসূল (সা.)-এর আগমনের সময় পৃথিবী অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। তখন কুরআনের মাধ্যমে আরব জাতি একটি আধ্যাত্মিক বিপ্লবের সাক্ষী হয়। এই গ্রন্থই তাদের পথপ্রদর্শক হয়ে ওঠে।
কুরআন পড়ার গুরুত্ব ও ফজিলত অসীম। রাসূল (সা.) বলেছেন, কুরআন কিয়ামতের দিন পাঠকের জন্য সুপারিশ করবে। এটি শুধু পড়া নয়, এর অর্থ বোঝা এবং জীবনে বাস্তবায়ন করাও অপরিহার্য। যেমন সূরা বনি ইসরাইলে আল্লাহপাক বলেছেন, সূর্যাস্ত থেকে রাতের অন্ধকার পর্যন্ত নামাজ আদায় এবং প্রভাতে কুরআন তেলাওয়াত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত উমর (রা.) এর জীবনই কুরআনের শক্তির প্রমাণ। ইসলামের কঠোর বিরোধী থেকে তিনি কুরআনের মাধ্যমে ইসলামের মহান খলিফায় পরিণত হন। তৃতীয় খলিফা হজরত উসমান (রা.)-এর ইসলাম গ্রহণও কুরআনের প্রভাবে ঘটে।
কুরআন সব ধরনের অন্ধকার থেকে মুক্তি দিয়ে আধ্যাত্মিক আলো ছড়ায়। হাদিসে বর্ণিত আছে, কুরআন পাঠকারীর জন্য এটি কিয়ামতের দিন শাফায়াতকারী হবে। তাই, আমাদের উচিত প্রতিদিন নিয়মিত কুরআন পাঠ, এর অর্থ বোঝা এবং আমল করা।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে কুরআনের নির্দেশনা মেনে চলার তাওফিক দান করুন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।