নওগাঁর বাসাবাড়ি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রিপেইড মিটার স্থাপন নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকরা। অভিযোগ উঠেছে, মিটার রিচার্জ করার পরেও ভৌতিকভাবে টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে, যার ফলে বাড়তি খরচ বহন করতে হচ্ছে। এর প্রতিবাদে শনিবার নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা।
নেসকোর পক্ষ থেকে গত এক মাসে নওগাঁ পৌরসভার বাসাবাড়ি ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে প্রিপেইড মিটার স্থাপন শুরু করা হয়েছে। তবে গ্রাহকদের অভিযোগ, মিটার স্থাপনের পরই নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে। যেমন, মিটারে টাকা রিচার্জ করলেও তা সঠিকভাবে জমা হচ্ছে না এবং পরবর্তীতে টাকা ভৌতিকভাবে কেটে নেয়া হচ্ছে। অনেক গ্রাহক এই সমস্যার কারণে তাদের বিদ্যুৎ বিল নিয়ে বিপদে পড়ছেন।
এ বিষয়ে নওগাঁ পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মিন্টু জানান, এক সপ্তাহ আগে নেসকোর পরিচয় দেয়া লোকজন এসে তার বাসায় প্রিপেইড মিটার লাগিয়ে দেয়। প্রথমে ৫০০ টাকা রিচার্জ করা হলেও পরদিন দেখা যায়, মিটারে মাত্র ২০ টাকা জমা হয়েছে এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পুনরায় ৫০০ টাকা রিচার্জ করার পরেও মিটারে ১৬০ টাকা কেটে নেয়া হয়, যা গ্রাহকদের জন্য অস্বাভাবিক ও অস্বস্তিকর।
এ প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ গ্রাহক স্বার্থ রক্ষা কমিটির সমন্বয়ক আলীমুর রেজা রানা বলেন, প্রিপেইড মিটার স্থাপনের কার্যক্রম জনগণের স্বার্থের পরিপন্থি। তিনি জানান, “সরকারি সেবা হিসেবে ডিজিটাল মিটার স্থাপন করা উচিত ছিল, কিন্তু বেসরকারি কোম্পানির মাধ্যমে এই মিটার স্থাপন জনগণের পকেট কাটার উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে।”
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব উৎপল সাহা অভিযোগ করেন, নেসকো কর্তৃপক্ষ জোর করে মিটার পরিবর্তন করে জনগণের টাকা আত্মসাৎ করছে। তিনি দাবি করেন, “গ্রাহকদের সমস্যার সমাধান না হলে কঠোর আন্দোলন করা হবে এবং নেসকোর অফিস ঘেরাও করা হবে।”
অন্যদিকে, নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তানজিমুল হক গ্রাহকদের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রিপেইড মিটার স্থাপন গ্রাহকদের সুবিধার্থে এবং এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে সবাই সঠিক পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহারের মাধ্যমে খরচ কমাতে পারবেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, এই প্রক্রিয়া একটি কার্যকর ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করবে এবং এতে কোনো ধরনের অনিয়ম বা ব্যক্তিগত স্বার্থ থাকবে না।
এদিকে, নওগাঁবাসী দাবি করছেন, যদি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান না হয়, তবে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।