ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি দাবি করেছেন, ইসরায়েল নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। তিনি মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) তেহরানে এক নারী সমাবেশে বলেন, সিরিয়ার পতন এবং হিজবুল্লাহকে কোণঠাসা করতে ইসরায়েল এক বৃহৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তবে, তিনি সতর্ক করেন যে, এমন কোনো পরিকল্পনার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু তার নিজের শেষ সময় ঘনিয়ে আনবে।
খামেনি আরো বলেন, ইসরায়েল গাজায় হামলা চালাচ্ছে এবং প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষকে শহীদ করছে, কিন্তু স্বাধীনতাকামী যোদ্ধারা এখনও প্রতিরোধ করছে। তিনি উল্লেখ করেন, লেবাননও একইভাবে নিজেদের প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া, তিনি হুঁশিয়ারি দেন যে, ইসরায়েল সিরিয়াকে ব্যবহার করে হিজবুল্লাহকে আক্রমণ করতে চাইছে, কিন্তু একমাত্র ধ্বংস হবে ইসরায়েলই।
এই বক্তব্যের সময় উপস্থিত জনতা ‘আমেরিকার মৃত্যু হোক’ এবং ‘ইসরায়েলের মৃত্যু হোক’ স্লোগান দেন। খামেনির এই ভাষণ এমন একটি সময়ে এসেছে যখন ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং পাল্টাপাল্টি হামলা চলছে। তবে, খামেনি একাধিক বার ইসরায়েলকে হুমকি দিলেও, ইরান সরাসরি বড় কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
অন্যদিকে, ইসরায়েলও ইরানের এক গুরুত্বপূর্ণ মিত্র, হুথি গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে সামরিক অভিযান প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। ইসরায়েলের পাবলিক ব্রডকাস্টিং করপোরেশন (কেএএন) জানিয়েছে, ইসরায়েল হুথিদের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার জবাব দিতে সামরিক অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। সম্প্রতি হুথিরা একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন ইসরায়েলের দিকে ছোড়ে, যার পরই এই পদক্ষেপের ঘোষণা দেয়া হয়।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, সিরিয়ার সরকার এবং লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর দুর্বলতার কারণে ইরান এখন হুথিদের ওপর ভর করছে। ইসরায়েলি নেতারা মনে করছেন, হুথিরা ইরানের সাহায্যে ইসরায়েলকে আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে, এবং তাই তারা তাদের অগ্রযাত্রা থামানোর জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নিতে চাইছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।