যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক অর্থনীতির শেয়ার বর্তমানে ১৫ শতাংশের নিচে নেমে গেছে, যা প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, বাইডেনের সময়সীমায় এই শেয়ার ১৪.৭৬ শতাংশে পৌঁছানোর পূর্বাভাস রয়েছে। ইকোনোমিক টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯০ সালে যুক্তরাষ্ট্র বৈশ্বিক অর্থনীতির ২০.১৬ শতাংশের জন্য দায়ী ছিল, যা ক্রয়ক্ষমতার সমতা (PPP) দ্বারা পরিমাপ করা হয়।
১৯৯৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার সর্বাধিক ২১.০১ শতাংশে পৌঁছালেও, এরপর থেকে ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে। ২০০৬ থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে এই পতন সবচেয়ে তীব্র ছিল, যেখানে প্রতি বছরে ০.৬ শতাংশ হ্রাস পায়। বারাক ওবামার দ্বিতীয় মেয়াদে কিছুটা বৃদ্ধি ঘটলেও, পরবর্তীতে তা স্থায়ী রাখতে ব্যর্থ হন।
বাইডেন প্রশাসনের সময়, যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার ২০২৩ সালের শেষে ১৪.৮২ শতাংশে নেমে এসেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) পূর্বাভাস দিচ্ছে যে, ২০২৪ সালের শেষে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার আরও ০.০৬ শতাংশ কমে যাবে।
অন্যদিকে, চীনের অর্থনীতির শেয়ার বর্তমানে ১৮.৭৬ শতাংশে পৌঁছেছে, যা মার্কিন অর্থনীতির পতনের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতার সংকেত। জাপানের শেয়ার গত ৩৩ বছরে ৪.৩৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, তবে এশিয়ার এই বৃহৎ অর্থনীতি এখনও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় বেশি স্থিতিশীল।
বিশ্লেষকদের মতে, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক দৃশ্যপটে যুক্তরাষ্ট্রের এই পতন দেশটির অর্থনৈতিক কৌশল ও নীতি নিয়ে গভীর চিন্তা করতে বাধ্য করছে। বাইডেনের প্রশাসনের জন্য একটি কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি, নতুবা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান আরও দুর্বল হতে পারে।
সমগ্র পরিস্থিতি থেকে বোঝা যাচ্ছে, মার্কিন অর্থনীতি নতুন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন, এবং বৈশ্বিক অর্থনীতির বৈচিত্র্যায়নের প্রেক্ষাপটে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।