ইসরায়েলের তৃতীয় বৃহত্তম শহর হাইফায় রোববার রাতভর রকেট হামলা চালিয়েছে লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, হামলায় অন্তত ১২০টি রকেট নিক্ষেপ করা হয়।
এটি হাইফার জন্য একটি নতুন বিপর্যয়, কারণ শহরটি এই প্রথমবারের মতো এই ধরনের ধ্বংসাত্মক হামলার মুখোমুখি হলো। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তাদের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ১১৫টি রকেট আঘাত হানার আগে ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে। তবে ৫টি রকেট ধ্বংস করা সম্ভব হয়নি, যার ফলে অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।
হামলার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, হামলার জেরে হাইফার বন্দরে থাকা কয়েকটি নৌকায় আগুন লেগেছে এবং আবাসিক ভবনগুলোতেও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
হাইফার মেয়র ইওনা ইয়াহাভ সোমবার ভোরে আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং সাংবাদিকদের বলেন, “এটি হাইফায় একটি সত্যিকারের ধ্বংসাত্মক হামলা। আশা করছি, এটি শেষ হামলা হবে।” তিনি মেরামতের কাজের তত্ত্বাবধানের নিশ্চয়তা দেন।
হামলার দায় স্বীকার করে হিজবুল্লাহ একটি বিবৃতিতে জানায়, লেবাননে ইসরায়েলি অভিযানের প্রতিবাদে এই রকেট হামলা চালানো হয়েছে।
এই হামলার পর এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে এবং স্থানীয় জনগণের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি উত্তপ্ত হওয়া ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তের পরিস্থিতি আবারও একটি নতুন মাত্রা পেয়েছে, যা ভবিষ্যতে আরও সংঘাতের আশঙ্কা সৃষ্টি করছে।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল, জেরুজালেম পোস্ট।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।