ধর্মবিদ্বেষী ঢাবির দুই শিক্ষককে অপসারণের দাবি জানালেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক
ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার ২৭শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৪:২৩ অপরাহ্ন
ধর্মবিদ্বেষী ঢাবির দুই শিক্ষককে অপসারণের দাবি জানালেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রণীত ও মুদ্রিত সব পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জনের জন্য সরকার ১০ সদস্যের একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করেছে। তবে এই কমিটি নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন জনপ্রিয় আলেম ও ইসলামী আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ। তিনি দাবি করেছেন, কমিটির ইসলামবিদ্বেষী দুই সদস্য—কামরুল হাসান মামুন ও সামিনা লুৎফাকে অপসারণ করতে হবে।


শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার পর শায়খ আহমাদুল্লাহ তার ফেসবুক পেজে একটি পোস্টের মাধ্যমে এই দাবি জানান। তিনি লেখেন, "ধর্মপ্রাণ মানুষের সন্তানরা কি পড়বে, তা ঠিক করবে চিহ্নিত ধর্মবিদ্বেষীরা! এটা শহীদদের রক্তের সঙ্গে সুস্পষ্ট বেঈমানি।"


পোস্টের কমেন্টে কামরুল হাসান মামুন ও সামিনা লুৎফার ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশট শেয়ার করে তিনি উল্লেখ করেন, “অবাক করার বিষয় হলো, এসব ধর্মবিদ্বেষীরা কেউ কারিকুলাম বা পাঠ্যপুস্তক বিশেষজ্ঞও না। তবুও তাদের চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে আমাদের ওপর। কামরুল হাসান মামুন ও সামিনা লুৎফাকে অনতিবিলম্বে অপসারণ করুন।”


জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের এই কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম। এছাড়া, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. ইয়ানুর রহমান সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।


কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন—শিক্ষা গবেষক রাখাল রাহা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা নিত্রা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আখতার খান, এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান, ও অন্যান্য সদস্যরা।


আলেম সমাজের অভিযোগ, কমিটিতে ইসলামবিদ্বেষী ও সমকামিতাকে সমর্থনকারী ব্যক্তিরা অন্তর্ভুক্ত আছেন। অধ্যাপক মামুনের বিরুদ্ধে সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ বিরোধী বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। একইভাবে, সামিনা লুৎফা সমকামিতা ও লিঙ্গ স্বাধীনতার নামে বিকৃত মতবাদের সক্রিয় কর্মী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।


আলেম সমাজের নেতৃবৃন্দের দাবি, এই দুই সদস্যের কার্যক্রম এবং দৃষ্টিভঙ্গি দেশের যুব সমাজের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তারা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন, অবিলম্বে এই দুই সদস্যকে কমিটি থেকে বাদ দিতে।