আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীকে পছন্দ করেন না

নিজস্ব প্রতিবেদক
হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী- বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ১৯শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:৫৩ পূর্বাহ্ন
আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীকে পছন্দ করেন না

আল্লাহ রব্বুল আলামিন তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাদের পছন্দ করেন না, তাদের মধ্যে সীমালঙ্ঘনকারী, অকৃতজ্ঞ, অহংকারী, অপব্যয়কারী, আমানতের খেয়ানতকারী ও জুলুমকারী অন্তর্ভুক্ত। কোরআনে আল্লাহ বলেন, “হে মুমিনগণ! আল্লাহ তোমাদের জন্য উৎকৃষ্ট যেসব বস্তু হালাল করেছেন, সেগুলোকে হারাম কোরো না এবং সীমালঙ্ঘন কোরো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীকে পছন্দ করেন না।” (সুরা মায়েদা, আয়াত ৮৭)


আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনজন লোক রসুল (সা.)-এর সহধর্মিণীদের কাছে এসে তাঁর ইবাদত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। যখন তারা রসুলের ইবাদত সম্পর্কে জানলো, তখন তারা তা অল্প মনে করল এবং সিদ্ধান্ত নিল একে অপরের থেকে আলাদা হবে। রসুল (সা.) তাদের এই সিদ্ধান্ত জানার পর বললেন, “আমি তোমাদের চেয়ে বেশি আল্লাহকে ভয় করি।” (বুখারি)


যারা নিয়মিত পাপ করে, কবিরা গুনাহে লিপ্ত হয়, প্রেমের কারণে নারীর সংস্পর্শে আসে, সুদ খায়, জুলুম করে এবং আমানত খেয়ানত করে, তারা সবাই সীমালঙ্ঘনকারী। আল্লাহ বলেন, “আর আল্লাহ জালিমদের পছন্দ করেন না।” (সুরা আলে ইমরান, আয়াত ৫৭)


আমাদের উচিত আল্লাহর দেয়া সম্পদ, আয়ু, স্বাস্থ্য ইত্যাদি আখিরাতের কল্যাণে কাজে লাগানো। আল্লাহ বলেন, “জমিনে বিপর্যয় সৃষ্টি করতে চেও না, নিশ্চয়ই আল্লাহ বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদের ভালোবাসেন না।” (সুরা কাসাস, আয়াত ৭৭)


আল্লাহ আরো বলেন, “যারা নিজ সহধর্মিণী ও মালিকানাভুক্ত দাসী ছাড়া অন্য কাউকে কামনা করে, তারা সীমালঙ্ঘনকারী।” (সুরা মুমিনুন, আয়াত ৬-৭)


এভাবে কোরআনের বিভিন্ন আয়াত থেকে বোঝা যায় যে, আল্লাহ ও তাঁর রসুলের নির্দেশ মানা ফরজ। সীমালঙ্ঘন করলে আল্লাহর অনুগ্রহ থেকে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে তাঁর নেক বান্দা হিসেবে জীবন গড়ার তাওফিক দিন এবং সীমালঙ্ঘনকারী হিসেবে নয়।