বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ বলেছেন, দেশে সহসাই গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি পাবে না। বিগত সরকার এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে পাশ কাটিয়ে নির্বাহী আদেশে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করত। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাহী আদেশে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির নিয়ম বাতিল করেছে।
সোমবার (২৬ আগস্ট) হবিগঞ্জ প্রেস ক্লাবে খোয়াই রিভার ওয়াটার কিপার ও পরিবেশবাদী সংগঠন ধরা আয়োজিত ‘খোয়াই অববাহিকায় বন্যা ও জলাবদ্ধতা, কারণ ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন।
জালাল আহমেদ বলেন, ‘বিগত সরকার এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে পাশ কাটিয়ে নির্বাহী আদেশে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়াত। কিন্তু বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাহী আদেশে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির নিয়ম বাতিল করেছে। দাম বৃদ্ধি করলে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনই করবে। এর জন্য এ কমিশনের একটি দাম নির্ধারণী প্রক্রিয়া রয়েছে। সে প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই করতে হবে।’
তিনি বলেন, কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য তিন বছরের চুক্তি ছিল। কিন্তু অনেকগুলোর চুক্তি নবায়ন করার সময় মূল্যের বিষয়টি যথাযথ সমন্বয় হয়নি। এসব অনিয়মের বিষয় খতিয়ে দেখা হবে। যারা চুক্তি অনুযায়ী বিদ্যুৎ দিচ্ছে, তাদের সঙ্গে চুক্তি অব্যাহত থাকবে। অন্যগুলো বাতিল করা হবে।
বিইআরসি চেয়ারম্যান আরও বলেন, খোয়াই নদী ও পুরাতন খোয়াই নদী নিয়ে ২ হাজার কোটি টাকার যে উন্নয়ন প্রকল্পটি বাতিল করা হয়েছে, তা নিয়ে নতুন করে পরিকল্পনা গ্রহণের চেষ্টা করা হবে। সিএস ও আরএস ম্যাপ দেখে নদীর অবস্থান নিরূপণ করে কারা নদীর ভেতরে আছে আর কারা বাইরে আছে, তার তালিকা করলে অনেকেই নদীর জায়গা ছেড়ে দিতে বাধ্য হবে। নদীতে যাতে কেউ ময়লা না ফেলে, তার জন্য সচেতনতামূলক প্রোগ্রাম করতে হবে। পরিবেশ আন্দোলন কর্মী কবি তাহমিনা বেগম গিনির সভাপতিত্বে ও খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপারের তোফাজ্জল সোহেল ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।