মানুষের জীবনে যে কয়টি ধাপ রয়েছে তন্মধ্যে একটি হলো আলমে বরজাখ বা কবরের জিন্দেগী। মৃত্যুর পর লম্বা একটা সময় মানুষকে কবরে অবস্থান করতে হয়। মানুষের মধ্যে অনেকেরেই কবরের জীবন থেকেই শুরু শাস্তি। কবরের এ শাস্তি থেকে বেঁচে থাকতে মানুষকে দুনিয়ায় কিছু আমল করতে হয়। আর কিছু কাজ থেকে বিরত থাকতে হয়। আবার কবরের জীবনের আজাব থেকে রক্ষা পেতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়ার কথা বলেছেন বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
সুতরাং কবরের আজাব থেকে মুক্তি পেতে হলে ৪টি কাজ বেশি বেশি করার পাশাপাশি ৪ টি কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। কবরের শান্তি ও নিরাপত্তা লাভে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে হবে। আর তাহলে-
যে কাজগুলো করতে হবে
> নামাজের ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা আদায় করা।
> অসহায় গরিব-দুঃখীর মাঝে বেশি বেশি দান করা।
> নিয়মিত কুরআন তেলাওয়াত করা।
> বেশি বেশি তাসবিহ-তাহলিলসহ সকাল-সন্ধ্যায় তাওবা-ইসতেগফার করা।
যে কাজগুলো ছেড়ে দিতে হবে
> মিথ্যা বলা থেকে বিরত থাকা।
> বান্দার হক আত্মসাত না করা।
> চোগলখুরী না করা।
> যথাযথভাবে ইস্তেঞ্জা করা। যাতে পেশাবের ফোঁটা শরীরে না আসে।
বেশি বেশি এ দোয়াটি পড়া
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কবরের আজাব থেকে বাঁচতে এ দোয়াটি বেশি বেশি পড়তেন-
اَللَّهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ، وَمِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ، وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ، وَمِنْ شَرِّ فِتْنَةِ الْمَسِيْحِ الدَّجَّالِ.
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন আজাবিল ক্বাবরি, ওয়া মিন আজাবি জাহান্নাম, ওয়া মিন ফিতনাতিল মাহয়া ওয়াল্ মামাতি, ওয়া মিং সাররি ফিতনাতিল্ মাসিহিদ্-দাজ্জাল।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তুমি আমাকে কাবরের আজাব থেকে রক্ষা করো,আমাকে জাহান্নামের আজাব এবং দুনিয়ার ফিৎনা ও মৃত্যুর ফেতনা এবং দাজ্জালের ফিৎনা থেকে রক্ষা করো।’ (বুখারি, মুসলিম)
মুমিন মুসলমানের উচিত কবরের আজাব থেকে বেঁচে থাকতে উল্লেখিত আমল ও দোয়ার মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করা। পরকালের নাজাতে আল্লাহর কাছে বেশি সাহায্য প্রার্থনা করা। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কবরের আজাব থেকে বেঁচে থাকতে উপরোক্ত কাজগুলো যথাযথভাবে মেনে চলার তাওফিক দান করুন। কবরের আজাব থেকে মুসলিম উম্মাহকে হিফাজত করুন। আমিন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।