মহান আল্লাহ সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা। তিনি দুনিয়াতে এমন অনেক প্রাণী সৃষ্টি করেছেন, যা দেখতে মানুষের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। আবার এসবের অনেক উপকারিতাও রয়েছে। এটি মহান প্রভুর সৃষ্টির অপার রহস্য। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সৃষ্টির সব ক্ষতিকর প্রাণীর আক্রমণ ও অপকারিতা থেকে বেঁচে থাকতে দিয়েছেন সুন্দর দোয়া ও আমল। যে আমল ও দোয়ায় দুনিয়ার যাবতীয় ক্ষতি থেকে মুক্ত থাকবে মানুষ। হাদিসে পাকে এসেছে-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, একটি বিছা (বিচ্ছু) এক ব্যক্তিকে দংশন করলে ঐ রাতে সে আর ঘুমাতে পারেনি। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলা হলো- অমুক ব্যক্তিকে বিছায় (বিচ্ছু) দংশন করায় সে গত রাতে ঘুমাতে পারেনি। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘আহা! সে যদি সন্ধ্যায় উপনীত হয়ে বলতো-
أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ
উচ্চারণ : ‘আউজু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন শাররি মা খালাকা।’
অর্থ : আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালামের ওসিলায় তাঁর সৃষ্টির অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাই।’তাহলে বিছার (বিচ্ছুর) দংশন সকাল পর্যন্ত তার কোনো ক্ষতি করতে পারতো না।’ (ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহমাদ, আবু দাউদ, তালিকুর রাগিব)
এটি এমন একটি দোয়া; যা সকাল-সন্ধ্যায় পড়লে দুনিয়ার যাবতীয় ক্ষতিকর বিষয় থেকে মানুষকে হেফাজত রাখবে। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে প্রমাণিত কার্যকরী দোয়া এটি।
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, সকাল-সন্ধ্যায় এ দোয়াটির উপর যথাযথ আমল করা। দুনিয়ার যাবতীয় ক্ষতিতে নবিজীর হাদিসের ওপর পরিপূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস স্থাপন করা।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।