ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর আহত নাকি নিহত হয়েছেন, ডাজ নট ম্যাটার বলে মন্তব্য করেছেন জিএস গোলাম রাব্বানী। একই সঙ্গে ভিপি নুরকে আর ডাকসুতে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি। রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু চত্বরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। দেশীয় অস্ত্র ও বহিরাগতদের নিয়ে ডাকসু ভিপি নুরুল হক মারামারিতে জড়িয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন জিএস গোলাম রাব্বানী।
ভিপি নুর নিজের দুর্নীতি ঢাকতে বহিরাগতদের নিয়ে ডাকসুকে ব্যবহার করে অরাজকতা করছেন বলেও অভিযোগ তুলছেন রাব্বানী। এছাড়া ভিপি নুর পদত্যাগের মাধ্যমে ডাকসু শান্ত হবে বলেও জানান তিনি। রবিবার বেলা ১টার দিকে ডাকসু ভবনে গিয়ে ভিপির কক্ষ এবং ডাকসু ভবনে ভাঙচুর চালায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের লোকজন। এ সময় নিজ কক্ষে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন ডাকসু ভিপি। এতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা অংশ নিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। হামলা-ভাঙচুরে ভিপি নুরসহ আটজন আহত হয়েছেন।
হামলার পর আহত ডাকসু ভিপি নুরুল হক অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এছাড়া ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহবায়ক রাশেদ খান, ফারুক হোসেনসহ অন্যদের সাহায্য চেয়ে আকুতি জানাতে দেখা যায়।
নুরদের উপর হামলার বিষয়ে রাব্বানী বলেন, সকাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিরাগতদের নিয়ে ডাকসুতে জড়ো হন নুর। এ সময় তাদের হাতে দেশীয় অস্ত্র, রড ও লাঠি ছিল। পরে ডাকসু ভবনের উপর থেকে নুরের নেতৃত্বে ইট পাটকেল মারা হয়।
নুরের উপর হামলার কথা ডাকসুর কাউকে জানায়নি বলে অভিযোগ করে রাব্বানী বলেন, ডাকসু ভিপি আক্রান্ত হলে কেন আমাদের জানাইনি। আমরা তাকে আশ্রয় দিতাম। মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতার্মীরা দাবি করেছেন, নুর এবং তার অনুসারীরা ৬ রাউন্ড গুলি ছুড়েছে ওপর থেকে। এ কারণে তারাও নুরদেরকে মারধর করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সভাপতি ছাত্রলীগ থেকে সদ্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত সহসভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জন নেতাকর্মী ডাকসু ভিপির কক্ষ ও ডাকসু ভবনে ভাঙচুর চালায়। এ সময় ছাত্রলীগ থেকে নির্বাচিত ডাকসুর কয়েকজন সদস্য মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চকে হামলা বিরত থাকার অনুরোধ জানান। মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের লোকজন জামায়াত-শিবির আখ্যায়িত করে তাদেরকেও মারধর করে।
হামলায় ছাত্রলীগ থেকে নির্বাচিত সূর্যসেন হল সংসদের ভিপি মারিয়াম জামান সোহান ও জিএস সিয়ামও অংশ নেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারাও ভিপি নুরের অনুসারীদের লাঠিসোঁটা দিয়ে মারধর করেন। ভিপি নুরের ফেইসবুক পেজে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে দেওয়া লাইভে দেখা যায়, বাংলাদেশে সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদ নেতা রাশেদ খান কথা বলছেন। নুরসহ কয়েকজন কক্ষের মেঝেতে পড়ে আছেন।
রাশেদ খানকে বলতে শোনা যায়, ‘শাহবাগ থানা-পুলিশের সাহায্য কামনা করছি। এখানে আমাদের সবার অবস্থা খারাপ।’
বাংলাদেশে সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদ থেকে নির্বাচিত ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। অনেকে আহত হয়েছেন। ভিপি নুর এখনো অবরুদ্ধ।’
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।