প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০২৫, ১৬:৪১
ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশ ঘিরে ব্যাপক উপস্থিতি ও আলোচনার মধ্যেই বিএনপিকে আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। শনিবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান। তিনি জানান, জামায়াতের এই সমাবেশে বিএনপির কাউকে ডাকা হয়নি।
হন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় এবং আশপাশেও ছড়িয়ে পড়ে হাজারো মানুষের উপস্থিতি। দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা হাতে ও মনোগ্রাম খচিত টি-শার্ট, পাঞ্জাবি পরে অনেকে অংশগ্রহণ করেন, যা গোটা উদ্যানজুড়ে একটি ঐক্যবদ্ধ আবহ তৈরি করে।
সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ, সকল গণহত্যার বিচার, মৌলিক সংস্কার, 'জুলাই সনদ' বাস্তবায়ন, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের পুনর্বাসন ও প্রবাসী ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণ। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে এককভাবে জাতীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যা দলটির নেতারা একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক অধ্যায় হিসেবে দেখছেন। সমাবেশ ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে।
নিরাপত্তার জন্য পুরো এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। এদিকে, বিএনপির অনুপস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে আলোচনা। অনেকেই বলছেন, বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় বিএনপি-জামায়াত দূরত্ব বজায় রাখার কৌশল অবলম্বন করছে। তবে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ না পাওয়া নিয়ে বিএনপির প্রতিক্রিয়া বেশ সংযত। সবমিলিয়ে জামায়াতের এই সমাবেশ নতুন করে রাজনৈতিক উত্তাপ তৈরি করেছে রাজধানীতে।