প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৫, ১৮:৪৬
জাতীয় রাজনীতির উত্তাল প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকারের রূপরেখা ও আগাম নির্বাচন নিয়ে ফের সরব হয়েছে বিএনপি। সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত এক আলোচনাসভায় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের প্রক্রিয়া শুরু করতে হলে নির্বাচন কমিশনকে দ্রুত জানাতে হবে যে, আগামী ফেব্রুয়ারিতেই সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে। তিনি এই প্রক্রিয়াকে ‘ডেমোক্রেটিক ট্রান্স ফরমেশন’ হিসেবে উল্লেখ করেন এবং বলেন, জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে সেই পথ তৈরি করতে হবে। সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, আমরা আশা করছি লন্ডনের আলোচনার ভিত্তিতে নেওয়া সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনে যথাযথ প্রক্রিয়ায় দ্রুত জানানো হবে। এতে কমিশন পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে জনগণকে পরিষ্কারভাবে জানাতে পারবে।
তিনি দাবি করেন, সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের পরবর্তী সংসদে অনুমোদন প্রয়োজন হবে এবং সেই প্রক্রিয়াকে ঘিরেই আইনি ভিত্তি তৈরি করতে হবে। এ বৈধতা কোথায় এবং কীভাবে হবে, তা রাজনৈতিকভাবে ও সাংবিধানিকভাবে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা দরকার। আলোচনাসভায় তিনি আরও বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে যে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ প্রস্তাব করা হয়েছে, তা সাংবিধানিক ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে। সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ ও সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভাইজারি রুল অনুসরণ করেই এই পরিষদ গঠন করা হয়েছে।
এ সময় বিএনপির লন্ডন বৈঠক নিয়ে উঠা বিতর্ক প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ওই বৈঠকে কোনো দায়মুক্তির আলোচনা হয়নি বরং তা ছিল একটি কাঠামোগত পরামর্শ সভা। এতে বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের একটি রূপরেখা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
রাজনীতির এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বিএনপির এই বক্তব্য নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা ও অন্তর্বর্তী সরকারের কাঠামো নিয়ে দলটির সুস্পষ্ট অবস্থান রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে। পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, বিএনপি এখন সরাসরি রাষ্ট্র কাঠামোতে অংশ নিতে রাজনৈতিক ও আইনি প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এই আলোচনা সভা থেকে বিএনপি একটি বার্তা দিচ্ছে— তারা সরকার ও সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এক নতুন ধারার রাজনীতিতে প্রবেশ করতে চায়। এজন্য তারা নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে দ্রুত এবং স্পষ্ট সিদ্ধান্ত প্রত্যাশা করছে।