সংস্কার ও নির্বাচন আলাদা: মির্জা ফখরুল

মঙ্গলবার বিকেলে ঠাকুরগাঁওয়ের নিজ বাসভবনে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, চীন সফর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বড় সাফল্য। আওয়ামী লীগ আমলে চীনের সঙ্গে একতরফা সম্পর্ক থাকলেও সরকার পরিবর্তনের পর চীন তাদের কূটনৈতিক অবস্থান বদলেছে।  

তিনি বলেন, চীন এখন সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সমন্বয় করে চলছে। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে চীন ভবিষ্যতেও বিনিয়োগ অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যা দেশের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক। এ সম্পর্ক বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক ক্ষেত্রেও নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে।  

বিএনপি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ছাত্র ও জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এসেছে এবং তারা রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য কমিশন গঠন করেছে। বিএনপি সেই সুপারিশ পর্যালোচনা করে মতামত দিয়েছে এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা চলবে।  

তিনি আরও বলেন, সংস্কার ও নির্বাচন দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। সংস্কার চলবে তার নিজস্ব ধারায় আর নির্বাচন হবে রাজনৈতিক ঐক্যের ভিত্তিতে। এতে কোনো রাজনৈতিক দলকে আলাদা সুবিধা দেওয়া হবে না। জনগণের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে নির্বাচন পরিচালিত হবে।  

তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো একমত হলে তবেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনগণের আস্থা অর্জন করতে হলে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি নিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয়ে সব দলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। বিএনপি সবসময় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী এবং জনগণের স্বার্থে কাজ করতে চায়।  

তিনি আরও বলেন, দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা কাটিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই সমাধান আসবে। এজন্য সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সবার অংশগ্রহণ জরুরি।  

তিনি বলেন, সংস্কার রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার একটি অংশ এবং এটি ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করতে হবে। বিএনপি চায় দেশের উন্নতি ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুসংহত হোক। এজন্য সব পক্ষের দায়িত্বশীল আচরণ জরুরি বলে তিনি মনে করেন।