খাগড়াছড়িতে অপারেশন ডেভিল হান্টে গ্রেফতার ১৫

নিজস্ব প্রতিবেদক
আরিফুল ইসলাম মহিন -খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ১৩ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন
খাগড়াছড়িতে অপারেশন ডেভিল হান্টে গ্রেফতার ১৫

খাগড়াছড়ির বিভিন্ন উপজেলায় অপারেশন ডেভিল হান্টের আওতায় অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। পুলিশ জানিয়েছে, ৫ আগস্টের পর সংঘটিত বিভিন্ন সহিংস ঘটনার অভিযোগে এবং পূর্বের মামলাগুলোর ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।  


গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন খাগড়াছড়ি পৌর আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা, দীঘিনালা, মহালছড়ি, পানছড়ি, রামগড়, মাটিরাঙ্গা, মানিকছড়ি ও গুইমারা উপজেলার স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা। তাদের বিরুদ্ধে নাশকতা, সন্ত্রাসী কার্যক্রম এবং সরকারি সম্পত্তির ক্ষতির অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।  


পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল জানিয়েছেন, গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে কিছু সন্দেহজনক সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে, যা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  


অভিযানের ফলে স্থানীয়দের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং সন্দেহভাজনদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খাগড়াছড়ির বিভিন্ন এলাকায় আরও সন্দেহভাজনদের চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত থাকবে।  


এ নিয়ে খাগড়াছড়ি জেলায় অপারেশন ডেভিল হান্ট চলাকালীন মোট গ্রেফতার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৩ জনে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার রাখতে পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী টহল বৃদ্ধি করেছে এবং সার্বক্ষণিক নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে।  


সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এই অভিযান দীর্ঘমেয়াদি হবে। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে এবং বিশেষ নজরদারি অব্যাহত রাখা হবে। পুলিশ ও র‌্যাবের যৌথ উদ্যোগে এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।  


অপারেশন ডেভিল হান্টের আওতায় আরও কয়েকটি বিশেষ অভিযান পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে। এর মাধ্যমে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে যুক্ত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিরাপত্তার স্বার্থে স্থানীয়দের সহায়তা নেওয়া হবে এবং যেকোনো সন্দেহজনক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  


আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে। এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক না ছড়িয়ে স্বাভাবিক পরিস্থিতি বজায় রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে।