প্রকাশ: ৪ নভেম্বর ২০১৯, ০:৩
স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ১৬ নভেম্বর। এর আগে ১১ ও ১২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে সংগঠনটির গুরুত্বপূর্ণ দুই শাখা ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সম্মেলন। সম্মেলন ঘিরে ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে। নানা কারণে যারা দুর্নাম কুড়িয়েছে, এমন নেতারা এবার বাদ পড়বেন বলেও মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি পদে হতে লড়াইয়ে এগিয়ে রয়েছেন এডভোকেট গোপাল চন্দ্র সরকার। এছাড়া দক্ষিণের সভাপতি প্রার্থী হবেন ঢাকা মহানগর দক্ষিন স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক এবং দক্ষিণের সভাপতি প্রার্থী তারিক সাঈদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কামরুল হাসান রিপন ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ হাওলাদার। এছাড়াও সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য লড়বেন আরও প্রায় ডজন খানেক নেতা।
জানা যায়, গোপাল চন্দ্র সরকার ১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থানের রাজপথের অগ্র সৈনিক। ১৯৯১ সালে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগের মনোনীত এ জি এস পদপ্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছিলেন। ১৯৯৪ সালে হরতালের মিছিল করতে গিয়ে পুলিশ কর্তৃক প্রেসক্লাবের সামনে থেকে গ্রেফতার ও চরম নির্যাতনের শিকার হোন। ২০০১ সালে জননিরাপত্তা আইনের মামলায় ফের গ্রেফতার হন তিনি।
২০০২ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকীর অনুষ্ঠান থেকে আবারও পুলিশের হাতে গ্রেফতার হোন তিনি। ২০০৪ সালে র্যাব বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হোন। ১/১১ এর সময় দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা মুক্তি আন্দোলনে অগ্রনী ভূমিকা পালন করন গোপাল চন্দ্র সরকার।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কামরুল হাসান রিপন কে বলেন, আমি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি প্রার্থী। সকল পরিস্থিতেই আমি দলের জন্য কাজ করে গিয়েছি। জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে দায়িত্ব দেন, তাহলে আমি অবশ্যই এই পবিত্র দায়িত্ব সততার সাথে পালন করব।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব