দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থী নূর হোসাইন রাফি, যে একজন বাক প্রতিবন্ধী, তার চিকিৎসার জন্য সহায়তা করেছেন স্থানীয় প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার। পাঁচ বছরের শিশুটি দু’ বছর আগে দৃষ্টিহীন হয়ে পড়েন, কারণ তার ডান চোখে খেলাধুলার সময় আঘাত লেগে ক্ষত সৃষ্টি হয়, যা এখন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। চিকিৎসার অভাবে তার চোখের মাংস বৃদ্ধি পেয়ে অস্বাভাবিকভাবে বেরিয়ে গেছে এবং তার অপর চোখটি অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠেছে।
শিশু রাফির পরিবার, যাদের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ, সেই পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয় গ্রামবাসীর সহায়তায় একবার ইস্পাহানী ইসলামিয়া আই ইনস্টিটিউট থেকে চিকিৎসা নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু পরবর্তীতে অর্থের অভাবে তা বন্ধ হয়ে যায়। সম্প্রতি তার চোখের অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায়, তার পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
রাফির মাকে, শাপলা বিবি বলেন, “আমার ছেলেটি প্রতিদিন চোখের যন্ত্রণা সহ্য করতে পারে না। গত পাঁচ মাস আগেও তার চোখের অবস্থা এতটা খারাপ ছিল না। এখন সে কেবল কষ্ট পাচ্ছে।”
শিশু রাফির চিকিৎসার জন্য, বিরামপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুনা লায়লা এবং উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিনের উদ্যোগে স্থানীয় প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার সহায়তায় এগিয়ে আসেন। বিরামপুর উপজেলার ১১৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণের সমন্বয়ে এক সভার মাধ্যমে শিশুটির চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহ করা হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুনা লায়লা জানিয়েছেন, “শিশু রাফি আমাদের শিক্ষা পরিবারের সন্তান। আমরা তার চিকিৎসার জন্য ঢাকা চক্ষু হাসপাতালে ব্যবস্থা করব। প্রথমে তার চোখের মাংসটি অপারেশন করে কাটা হবে এবং পরবর্তীতে পাথরের চোখ বসানো হবে।”
এদিকে, বিনাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, শিশু রাফির চোখের অবস্থা দেখে তিনি উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবগত করেন, এবং শিশুটির সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।