কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে পুলিশ ভ্যান থেকে হাতকড়া পরিহিত মাদককারবারিদের ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ৬ পুলিশ সদস্যকে কুড়িগ্রাম পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই জনকে আটক করা হয়েছে এবং আরও তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত রোববার বিকেলে চরভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের বাবুরহাট বাজার এলাকায় হাফিজুল ইসলামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশ ১ হাজার ৬২০ পিস ইয়াবাসহ হাফিজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী হাসিনা আক্তারকে আটক করে। তবে তাদেরকে থানায় নিয়ে আসার পথে আরাজি পাইকডাঙ্গা এলাকায় প্রায় শতাধিক ব্যক্তির একটি দল পুলিশের ভ্যান আটকায়। মাদক ব্যবসায়ীর ভাই ও সাংবাদিক পরিচয়দানকারী এক ব্যক্তির নেতৃত্বে দলটি হামলা চালিয়ে হাতকড়া পরিহিত আসামিদের ছিনিয়ে নেয়।
ঘটনার পর কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ ও ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালায়। রাতেই চরভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের হুচারবালা গ্রামে অভিযান চালিয়ে আনোয়ার হোসেন ওরফে আরিফ (৩২) ও তার পিতা আব্দুস ছালামকে (৫০) গ্রেপ্তার করে। পরে সোমবার আরেকটি অভিযানে আরাজি পাইকডাঙ্গা গ্রামের তফের আলী (৫০), এরশাদুল আলম (৪০), এবং হাসিনা আক্তার (২৮)-কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়।
এদিকে ব্যর্থতার দায়ে ভূরুঙ্গামারী থানার এসআই আরিফ মাহমুদ আপেল, এএসআই আলমগীর হোসেন, এবং কনস্টেবল সবুজ চন্দ্র রায়, বিনয় চন্দ্র বর্মণ, শফিউল্লাহ ও মিজানুর রহমানকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে কুড়িগ্রাম পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে।
ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “আমরা ইতিমধ্যে ঘটনায় জড়িত ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছি এবং আরও ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
ভূরুঙ্গামারী সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মাসুদ রানা বলেন, “মাদকবিরোধী অভিযানে ১ হাজার ৬২০ পিস ইয়াবাসহ দুই জনকে আটক করা হলেও কিছু দুষ্কৃতকারী তাদের ছিনিয়ে নেয়। অভিযানে ব্যর্থতার দায়ে ৬ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও তদন্ত চলছে।”
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।