পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ২৭তম বর্ষপূর্তিতে চুক্তির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক ও খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূঁইয়া। সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি চুক্তির প্রভাব এবং পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়টি পুনর্মূল্যায়ন করার আহ্বান জানান।
ওয়াদুদ ভূঁইয়া লেখেন, "আজ থেকে ঠিক ২৭ বছর আগে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি-সম্প্রীতি স্থাপনে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও অস্ত্রবাজী অবসানের ওয়াদা দিয়ে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির যে চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিলো, তাতে কি পার্বত্য জনপদে আসলেই শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে?"
তিনি অভিযোগ করেন যে, এখনও পার্বত্য চট্টগ্রামে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার, সহিংসতা এবং নিরাপত্তাহীনতা অব্যাহত রয়েছে। "আমরা তো এখনও পাহাড়ে স্পষ্ট শুনতে পাই অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি। এখনও প্রায়শই বারুদের গন্ধ লাগে নাকে। মাঝে মাঝেই তো শোনা যায় ধর্ষিতা বোনের আত্মচিৎকার," তিনি উল্লেখ করেন।
চুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকে পাহাড়ি-বাঙালিদের মধ্যে বৈষম্য আরও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মন্তব্য করেন ওয়াদুদ। তিনি বলেন, "ওই চুক্তির মাধ্যমে পাহাড়ি এবং বাঙালির বৈষম্য আরও অনেক বেশি সুদৃঢ় করেছে স্বৈরাচারী হাসিনা।"
তিনি তৎকালীন বিএনপি সরকারের লংমার্চের প্রসঙ্গ টেনে চুক্তির বিরোধিতার কথা স্মরণ করিয়ে দেন। পার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রতিক সহিংসতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, "অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার এবং নিরাপত্তাহীনতার কারণে পার্বত্য অঞ্চলের জনগণ আজও ভুগছে।"
ওয়াদুদ ভূঁইয়া চুক্তির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা, বহুপক্ষীয় আলোচনা এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানান।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।