২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় বাতিল করে হাইকোর্ট বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সকল আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেন-এর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় প্রদান করেন।
হাইকোর্টের এই রায়ের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করেছেন। তিনি বলেছেন, “এই রায়ে প্রমাণিত হলো যে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তারেক রহমানকে এই মামলায় অভিযুক্ত করেছিল।”
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, “তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আনীত মামলার অভিযোগ থেকে তিনি আইনি প্রক্রিয়ায় উচ্চ আদালত থেকে খালাস পেয়েছেন। এটি একটি ঐতিহাসিক রায় এবং এর মধ্য দিয়ে আবারও প্রমাণিত হলো যে তার বিরুদ্ধে আনা সকল মামলা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রমূলক ছিল।”
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন নিহত হন এবং কয়েকশ জন আহত হন। এ ঘটনায় তারেক রহমানসহ বিএনপি’র শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। ২০১৮ সালে বিচারিক আদালত তাকে এ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
তবে উচ্চ আদালত রায়ের পুনঃমূল্যায়ন করে সব আসামিকে খালাস দেয়। আদালত বলেন, অভিযোগ প্রমাণে পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান প্রেরিত বিবৃতিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগ সরকার তারেক রহমানকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করতে এবং বিএনপির নেতৃত্বকে দুর্বল করার জন্য এ মামলাকে ব্যবহার করেছে। উচ্চ আদালতের এই রায়ে সরকারের অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।