বিএনপি সন্ত্রাসী সংগঠন, ভুরি ভুরি প্রমাণ আছে : পরশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
মইনুল হক মৃধা, জেলা প্রতিনিধি, রাজবাড়ী
প্রকাশিত: রবিবার ৫ই মার্চ ২০২৩ ০১:০২ অপরাহ্ন
বিএনপি সন্ত্রাসী সংগঠন, ভুরি ভুরি প্রমাণ আছে : পরশ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া কিশোর গ্যাং এবং কিছু সহজ সরল তরুণদের নিয়ে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে বিভিন্ন লোভ দেখাচ্ছেন। খুব শিগ্রই ওর প্রতারণার সত্যতা বেড়িয়ে আসবে সেদিন বেশী দূরে না, ওর নিজ দলের নেতারাই ওকে লাঞ্চিত করবে এবং দলের বিলুপ্ত ঘটাবে বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ।


শনিবার (৪ মার্চ) রাজবাড়ী জেলার শহীদ খুশি রেলওয়ে মাঠে দুপুরে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে এ বক্তব্য প্রদান করেছেন তিনি।


যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ পরশ বলেন, বিএনপি যে সন্ত্রাসী সংগঠন এর ভুরি ভুরি প্রমাণ আছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার নাম এসেছিল মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায়। আন্তর্জাতিক মানি লন্ডারিং মামলাতেও তিনি দুর্নীতির বরপুত্র এবং সারা বিশ্বে কুখ্যাত। এছাড়া ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা, একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা ও দুর্নীতির কারণে দেশ-বিদেশে তার ব্যাপক সুনাম আছে। এই কুখ্যাত সন্ত্রাসী এবং দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন রাজনৈতিক দল এখন আমাদেরকে সন্ত্রাসী হিসাবে উপস্থাপন করার রাজনৈতিক কৌশল হাতে নিয়েছে।


বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন বাস্তবায়নের যোগ্যতা একমাত্র শেখ হাসিনার আছে। প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তার কারণে তার প্রতি এ দেশের জনগণের আকর্ষণ অনেক বেড়ে গেছে।


সম্মেলনে উদ্বোধক ও প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। প্রধান বক্তা হিসেবে আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল, সম্মানিত অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান, বিশেষ অতিথি হিসেবে রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী, রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুল হাকিম উপস্থিত আছেন। এছাড়া সম্মেলনে কেন্দ্রীয় যুবলীগের নেতাকর্মী ও রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত আছেন।


দীর্ঘ ২৬ বছর পর অনুষ্ঠিত হয়েছে রাজবাড়ী জেলা যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন। জেলার শহীদ খুশি রেলওয়ে মাঠে সকাল থেকেই যুবলীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে মাঠে আসে। দীর্ঘদিন পর সম্মেলন হওয়ায় সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে বিভিন্ন নেতা প্রার্থী হয়ে ফেস্টুন, পোস্টার, ব্যানার, তোরণ নির্মাণ করেছেন রাজবাড়ী জেলা শহরসহ বিভিন্ন সড়ক। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়।


প্রসঙ্গত, রাজবাড়ী জেলা যুবলীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয় ১৯৯৭ সালে। এরপর ২০০৫ সালে ওই কমিটি ভেঙে দিয়ে জহুরুল ইসলামকে আহ্বায়ক এবং আবুল হোসেন ও শাহ মো. জাহাঙ্গীর জলিলকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ৩১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। সর্বশেষ তিন মাসের আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে পার হয় ২৬ বছর। গত ১০ ফেব্রুয়ারি যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল জেলা শাখার সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করেন।