ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতিসহ ৭ নেতাকে সাময়িক ভাবে বহিস্কার করা হয়েছে। রোববার রাতে জেলা ছাত্রলীগের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনের নীতি আদর্শ ও সংগঠন পরিপন্থি কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ফাহিম হাসান সানি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস হাদিউজ্জামান আরিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম রাব্বি (অর্ক), ছাত্রলীগের কর্মী ফরহাদ-১, মুস্তাকিম, ফরহাদ-২ ও নিয়নকে সাময়িক ভাবে বহিস্কার করা হলো এবং স্থানীয় ভাবে বহিস্কারের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সুপারিশ করা হলো।
জানা গেছে, গত শুক্রবার রাতে ছাত্রলীগের ফাহিম হাসান সানি গ্রুপের ধাওয়া ও রাম দায়ের কোপ খেয়ে পালাতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘনায় নিহত হন ঝিনাইদহ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজের ভিপি ও সদর উপজেলার কুশাবাড়িয়া গ্রামের বাদশা মোল্লার ছেলে সাইদুজ্জামান মুরাদ বিশ্বাস (২৫), ছাত্রলীগ কর্মী ও ভেটেরিনারি কলেজের শিক্ষার্থী চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার বনেশ^রপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে তৌহিদুল ইসলাম (২৫) ও যশোরের মনিরামপুর উপজেলার পালদিয়া গ্রামের রাখাল চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে সমরেশ চন্দ্র বিশ্বাস (২৩)।
এ নিয়ে দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হলে ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগ দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি ২৪ ঘন্টার মধ্যে তদন্ত করে রিপোর্ট দিলে ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজিব হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আল ইমরান উল্লেখিত ৭ নেতাকর্মীকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করেন।
এ ঘটনায় ভেটেরিনারি কলেজের জিএস সজিব হাসানকে ছাত্রলীগের প্রতিদ্বন্দি সানি ও আরিফ গ্রুপ কুপিয়ে জখম করে। তিনি বাদী হয়ে মামলা করলে পুলিশ নয়ন ও সংগ্রাম নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার রাতে ঝিনাইদহ শহরের পাগলা কানাই এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা। এদিকে মুরাদের স্ত্রী সুমি খাতুন অভিযোগ করেন, তার স্বামীকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে। কারণ তার স্বামী এমপি গ্রুপের আবু সুমন বিশ্বাসের সঙ্গে দল করতো। তিনি বলেন, এটা দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পিত হত্যা। এর আগেও তার স্বামীকে হত্যার ছক করা হয়। ছাত্রলীগের ট্রেন্ডে পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে হেনস্তা করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।