ধামইরহাটে বিএনপি কার্যালয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত ৩০

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ আবুমুছা স্বপন, ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২৫শে আগস্ট ২০২২ ০৫:৪৬ অপরাহ্ন
ধামইরহাটে বিএনপি কার্যালয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত ৩০

নওগাঁর ধামইরহাটে বিএনপি কার্যালয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। প্রকাশ্য দিবালোকে লাঠি সোডা, রড  ও  ধারালো  অস্ত্র নিয়ে নিয়ে বিএনপির সাবেক এমপি’র সমর্থকরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে চেয়ার ভাংচুর ও বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতাকে আহত করে। 


আহতদের মধ্যে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আখরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও পৌর আহবায়ক কমিটির সদস্য রেজুয়ান হোসেন রঞ্জু, উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য দৈনিক দিনকালের সাংবাদিক মোতারফ হোসেন মুকুল, উমার ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মানিক হোসেন, আলমপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক সদস্য ফারুক হোসেন, জেলা ছাত্রদল নেতা মিজানুর রহমান, সোহাগ হোসেনসহ আরও প্রায় ৩০ জন গুরুত্বর আহত হন। 


মারাত্বক আক্রমনের শিকার বিএনপি নেতা আখরাজুল ইসলাম চৌধুরী ও যুবদল নেতা শাহান চৌধুরী জানান, আগামী ২৯ আগস্ট দেশব্যাপী বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করার লক্ষে জেলা নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে ২৫ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) দুপুর ২ টায় ধামইরহাট উপজেলা বিএনপির মত বিনিময় সভায় মিটিং চলাকালে রড, ক্রিজ, পাইপ, চাকুসহ বিভিন্ন অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।


 সাবেক এমপি সামসুজ্জোহা খান জোহার সমর্থক উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সদস্য আনিছুর রহমান, যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক লিটন, বিএনপি সমর্থক হানজালা, ছাত্রদলের নেতা রুম্মন হোসেন, বহিস্কৃত ছাত্রদল নেতা রতন ও মওদুদ, হাবীবসহ অনেকেই। আহতরা ধামইরহাট হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন ও গুরুত্বর আহত বিএনপি নেতা আখরাজুল ইসলাম চৌধুরীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নওগাঁ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্র জানায়।


মারপিটের সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিক মোতারফ হোসেন মুকুলের হাতে রড দিয়ে আঘাত করে রুম্মন, এ সময় সাংবাদিক মুকুলের মোবাইল ফোন ভাংচুর করে ও তার বাম, হাতে, মাথায়, চোখের উপরে ও পিঠে রডের আঘাত করে বলে ভুক্তভোগী জানান। এই ঘটনায় ধামইরহাট উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। 


সাবেক এমপি সামসুজ্জোহা খান, এমপি প্রার্থী নাজিবুল্লাহ চৌধুরী ও সাবেক উপজেলা বিএনপির ৫ম বারের সভাপতি আলহাজ্ব মাহবুবার রহমান চৌধুরী চপলের এমপি মনোনয়ন চাওয়ার জের ধরে ত্রি-মূখী অন্তদ্বন্দ সৃষ্টি হয়, যার ফলশ্রুতিতে আজকেরই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।


ধামইরহাট থানার ওসি মোজাম্মেল হক কাজী জানান, মারপিটের খবর পাওয়ার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলের আশে পাশে পুলিশি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।