ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর কাছে ক্ষমা চাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। রোববার (২৭ জুন) নিজের ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে তিনি এই অনুরোধ করেন।
ডাকসুর সাবেক ভিপি লেখেন, ‘‘ডা.জাফরুল্লাহ চৌধুরি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি নক্ষত্রের নাম। এই বৃদ্ধ বয়সেও অসুস্থ শরীর নিয়ে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সভা-সমাবেশে দেশ ও জনগণের জন্য কথা বলে যাচ্ছেন। অনেক উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গ জীবিত আছেন।দেশের এই পরিস্থিতিতে ক’জন সাহস নিয়ে কথা বলছেন? অনেক নামদামী শিক্ষক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী জাতির এই সংকটে যেখানে মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে, জাফরুল্লাহ চৌধুরী সেখানে এই বয়সেও গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় শুধু বক্তব্য -বিবৃতিতে নয়, রাজপথেও সোচ্চার ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন।
স্ট্যাটাসে তিনি উল্লেখ্য করে বলেন, বঙ্গবন্ধু, জিয়াউর রহমান, এরশাদ ৩ রাষ্ট্রপতিকে দেশ ও জনগণের স্বার্থে পরামর্শ দিয়েছেন। স্বজ্জন ব্যক্তি হিসেবে তারাও জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে সম্মান করতেন।এমনকি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ দেশের সুস্থ ধারার রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে বুদ্ধিজীবি,সাংবাদিক সকলেই জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে অত্যন্ত সম্মান ও শ্রদ্ধার চোখে দেখেন।
এমনকি দীর্ঘ জীবনে সরাসরি রাজনীতি থেকে দূরে থাকলেও ভারতীয় ষড়যন্ত্র থেকে দেশ ও গণতন্ত্র রক্ষায় ২০১৮ সালের নির্বাচনে ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’ গঠনে ভূমিকা রেখেছিলেন।
গণমাধ্যমের খবরে দেখলাম, ছাত্রদলের এক সহ-সভাপতি কতিপয় কর্মীসহ বিএনপির সাবেক শিক্ষামন্ত্রী আ.ন.ম এহসানুল হক মিলন ভাইয়ের প্রোগ্রামে শনিবার প্রেসক্লাবে জাফরুল্লাহ চৌধুরিকে শাসাচ্ছে, হুমকি দিছে! খুবই অবাক হয়েছি, কষ্ট পেয়েছি। পিতৃ সমতুল্য দেশের একজন বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিক, জীবন্ত কিংবদন্তির সাথে এ আচরণ মেনে নেয়া যায় না।
তাই ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অনুরোধ করবো ঐ কর্মীসহ জাফরুল্লাহ চৌধুরীর কাছে গিয়ে দুঃখ প্রকাশ করুন, ক্ষমা চান।
তরুণ রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের বলবো; রাজনীতি করতে হলে, অনেক ধৈর্য্যশীল হতে হবে, অন্যের প্রতি সহানুভূতি ও শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। সমালোচনা সহ্য করার মানসিকতা থাকতে হবে।’’
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।