প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২১, ২২:১৩
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
নোয়াখালী বসুরহাট পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জা বলছেন, ‘রাজনীতি করলে গ্রেফতার হতে হয়। এটা রাজনীতির জন্য কঠিন বিষয় নয়।’ বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) রাত পৌনে ৯টার দিকে তার ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে এসে তিনি এ মন্তব্য করেন।
লাইভে মির্জা কাদের বলেন, ‘সেদিনের সংঘর্ষে বাদল আমাকে লক্ষ্য করে গুলি করে, সেই গুলি আমার পাশে থাকা ছাত্রলীগের এক ছেলের গায়ে লাগে। সে এখন ঢাকায় হাসপাতালে ভর্তি আছে। এরপর কীভাবে সিএনজিচালক আলা উদ্দিন আসে আমি বলতে পারছি না। আমাকে বাদল হত্যা করতে চেয়েছিল। আমি কোনো নেতাকর্মীকে অস্ত্র দিইনি। যদি দিয়ে থাকি আল্লাহ আমার বিচার করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আলা উদ্দিনের হত্যাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্র চলছে। এটা কেউ মেনে নেবে না। বাদলকে গ্রেফতার করছে এতে আমি খুশি হয়েছি।’
মির্জা কাদের বলেন, ‘ওবায়দুল কাদেরের কারণে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী অপরাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে। একরামুল কবির চৌধুরীর কিমিটির অনুমোদন হয়নি। তারা যদি তদন্ত রিপোর্ট সেন্ট্রালে পাঠায়, তাহলে তা এক তরফা হবে।
তথ্যমন্ত্রীকে দল থেকে তদন্ত করার নির্দেশ দিন। এছাড়া স্থানীয়ভাবে ডিজিএফআই, এনএসআই আছে তাদেরকে নির্দেশ দিন। তদন্তে যদি আমি কিংবা আমার কর্মীরা পুরো ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকে, তাহলে যেকোনো ধরনের ব্যবস্থা নিক, আমি কোনো বাধা দিব না।’
তিনি বলেন, ‘আমিও চাই কোম্পানীগঞ্জে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হোক। অপরাজনীতি যারা করে তাদের সঙ্গে আমি নাই। অতীতের কর্মকাণ্ডে ক্ষমা চেয়ে আবারও বলছি, সত্য কথা বলব, অন্যায় অবিচার নিয়ে কথা বলব, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন দেখব এবং শেখ হাসিনার উন্নয়নের সঙ্গে আমি থাকব।’
এদিকে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার ঘটনায় বসুরহাট পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় নিহত সিএনজি চালক আলাউদ্দিনের ভাই বাদী হয়ে মামলাটি করেন। পরে কাদের মির্জার কার্যালয় পৌরভবন ঘিরে রেখেছে পুলিশ ও র্যাব। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কাদের মির্জা পৌরভবনে অবস্থান করছেন।