আজ দুপুরে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) চিকিৎসা নিতে আসা জুলাই আন্দোলনের আহতরা একটি তীব্র প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের গাড়ি আটকে দেওয়া হয়, কারণ তিনি আহতদের দেখতে আসেননি। এসময় আহতরা ক্ষুব্ধ হয়ে গাড়ির ওপর উঠে পড়েন এবং সশব্দ প্রতিবাদ জানাতে থাকেন।
ঘটনাটি ঘটেছে দুপুর পৌনে ১টার দিকে, যখন ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক এবং নূরজাহান বেগম নিটোর পরিদর্শনে আসেন। তারা হাসপাতালের চতুর্থ তলার পুরুষ ওয়ার্ডে গিয়ে প্রায় এক ঘণ্টা সময় কাটান। তবে, তারা তিন তলার ওয়ার্ডে থাকা আন্দোলনকারীদের দেখতে যাননি, যা নিয়ে আহতরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাদের অভিযোগ, হাইকমিশনার এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টা কয়েকজন বিদেশি অতিথি নিয়ে হাসপাতাল পরিদর্শন করলেও, আহতদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেননি।
আন্দোলনকারীরা এরপর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি গাড়ি আটকে দেন। এক পর্যায়ে, একজন আহত ব্যক্তি গাড়ির সামনে বসে পড়েন এবং আরেকজন গাড়ির ওপর উঠে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। তারা গাড়ির চালকসহ অন্যদের নামতে বলেন এবং গাড়িতে কিল-ঘুষিও মারেন। পরিস্থিতি গুরুতর হতে দেখে, নূরজাহান বেগম ও ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত অন্য একটি গাড়িতে স্থানান্তরিত হয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান।
এদিকে, ক্ষুব্ধ আহতরা প্রতিবাদ অব্যাহত রাখেন এবং পরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গাড়ি ও প্রটোকল পুলিশের গাড়ি আটকে রাস্তায় অবস্থান নেন। এর ফলে, আগারগাঁও থেকে শ্যামলীমুখি সড়ক বন্ধ হয়ে যায় এবং রাস্তায় ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। দুপুর ২টা পর্যন্ত সড়ক বন্ধ থাকার খবর পাওয়া গেছে।
আহত শিক্ষার্থী মো. হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, "আমাদের প্রতিটি ওয়ার্ডে ৪৮ জন করে রোগী আছে, কিন্তু তারা বিদেশি অতিথিদের নিয়ে এসেছেন, দেশীয় কোনো সাংবাদিককে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। তারা শুধু দু-একজনের সঙ্গে কথা বলে চলে গেছেন, কিন্তু আমাদের সঙ্গে একটিও কথা বলেননি। আমরা চিকিৎসা পাচ্ছি না, আমাদের জন্য ঘোষিত এক লাখ টাকার কথা কেউ রাখেনি।"
আন্দোলনকারীদের দাবি, তাদের সঠিক চিকিৎসা, ভালো চিকিৎসক এবং আগের ঘোষিত আর্থিক সহায়তা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।