পাকিস্তানে সেনা-পুলিশ অভিযানে ৬ সন্ত্রাসী নিহত

খাইবার পাখতুনখোয়ার বান্নু জেলায় সেনা-পুলিশ যৌথ বাহিনীর অভিযানে কমপক্ষে ৬ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। গত ২৩ এপ্রিল রাত থেকে ২৪ এপ্রিল রাত পর্যন্ত চলা এই অভিযানে আরও ৪ জন সন্ত্রাসী আহত হয়েছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দপ্তর (আইএসপিআর) শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

আইএসপিআরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বান্নু জেলায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সেনা-পুলিশ বাহিনীর ব্যাপক গুলিবিনিময় হয়। এ সময় ৬ জন সন্ত্রাসী নিহত এবং ৪ জন আহত হয়।

বিবৃতিতে পাকিস্তান সরকার ও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, "সন্ত্রাসবাদ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।" পাকিস্তান তার ভূখণ্ড থেকে সন্ত্রাসবাদ সম্পূর্ণভাবে উৎখাত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বেলুচিস্তান প্রদেশে গত কয়েক বছরে সন্ত্রাসী তৎপরতা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। খাইবার পাখতুনখোয়ায় তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) এবং বেলুচিস্তানে বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) সক্রিয় রয়েছে।

২০২১ সাল থেকে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। ২০২৪ সালে দেশটিতে সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাসী হামলা রেকর্ড করা হয়েছে। গত বছর পাকিস্তানে ৪৪টি বড় সন্ত্রাসী হামলা ঘটে, যা গত এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ।

এই হামলাগুলোতে ৬৮৫ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য এবং ৯২৭ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে, সেনা-পুলিশের যৌথ অভিযানে ২০২৪ সালে ৯৩৪ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।

সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে পাকিস্তান সরকারের কঠোর অবস্থানের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সহযোগিতাও বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর তৎপরতা রোধে আরও কৌশলগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযান আরও জোরদার করা হবে বলে পাকিস্তান সেনাবাহিনী জানিয়েছে। দেশটির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি উন্নয়নে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।