বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধে জড়াতে চায় না দিল্লি

বাংলাদেশের সঙ্গে সাম্প্রতিক বাণিজ্য উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের একাধিক সরকারি সূত্র জানিয়েছে, তারা কোনোভাবেই বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধে জড়াতে চায় না। বৃহস্পতিবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকা থেকে যেসব বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তার পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা আপাতত দিল্লির নেই।

ভারতীয় সরকারি সূত্রের বরাতে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, ভারত তাদের বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরের চাপ কমানোর উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের জন্য থাকা ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে। এই সিদ্ধান্তে নেপাল ও ভুটানে বাংলাদেশের পণ্য পরিবহনে কোনো সমস্যা হবে না বলেও আশ্বস্ত করা হয়েছে।

এর আগে ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছিল, বাংলাদেশের একজন শীর্ষ উপদেষ্টা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে মন্তব্য করায় দিল্লি ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে। তবে টাইমস অব ইন্ডিয়া তাদের প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে জানিয়েছে, ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হয়েছিল।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গত মার্চেই বাংলাদেশ তিনটি বন্দর বন্ধ করে এবং স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। যদিও ওই আমদানি নিষেধাজ্ঞার নির্দেশনা কার্যকর হয়েছে চলতি মাসেই, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে।

এছাড়াও জানুয়ারিতে বেনাপোল কাস্টমসে বাংলাদেশের সতর্কতা বৃদ্ধির ঘোষণা ভারতের দৃষ্টিতে একটি কৌশল, যা দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ব্যাহত করতে পারে। দিল্লির মতে, এসব পদক্ষেপই প্রথমে উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে।

সবশেষে, প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ মনে করে বাংলাদেশ বর্তমানে পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি বাণিজ্য চালু করেছে, যার অংশ হিসেবে ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান ট্রেডিং কর্পোরেশন থেকে ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করা হয়েছে। ভারত এ বিষয়টিকেও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে প্রভাব ফেলার কৌশল হিসেবেই দেখছে।

ভারত চাইছে, উত্তেজনা না বাড়িয়ে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা হোক। বাণিজ্য সহযোগিতা এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় দিল্লি সচেষ্ট থাকবে বলেই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।