মমতার মোদির বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা, বাংলাদেশ পরিস্থিতির উদাহরণ টেনে দাবি

ভারতের সংশোধিত ওয়াকফ বিল পাস নিয়ে গোটা ভারত উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। মুসলিমদের বিরুদ্ধে মোদি সরকারের অধীনে পাস হওয়া এই আইনের কারণে দেশজুড়ে অসন্তোষ এবং অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে, যার প্রভাব পড়েছে প্রতিবেশী বাংলাদেশেও। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ইমাম-মোয়াজ্জিমদের সম্মেলনে বক্তব্য রাখার সময় ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তীব্র সমালোচনা করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশেষভাবে বাংলাদেশের পরিস্থিতির উদাহরণ টেনে মোদির কাছে প্রশ্ন তোলেন, “বাংলাদেশের পরিস্থিতি জানেন না? এত তাড়াহুড়োর কী ছিল?”

ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে ভারতে বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে দায়ী করেছেন, যিনি, তার ভাষায়, ভুয়ো খবর ছড়ানো এবং বিএসএফের ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন। তিনি আরও বলেন, “অমিত শাহ কখনোই প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। মোদিজির প্রধানমন্ত্রীত্ব চলে গেলে আপনার কী হবে? আপনাকে তো হামাগুড়ি দিতে হবে।”

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোদির প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “একটা লোকের হাতে সব এজেন্সি, তাকে নিয়ন্ত্রণ করুন। যার কারণে দেশে অশান্তি ছড়াচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “মোদিজি, আমি আপনাকে অনুরোধ করছি, ওই লোকটাকে নিয়ন্ত্রণ করুন।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংখ্যালঘুদের উদ্দেশ্যে বলেন, “এক বছর ধৈর্য ধরুন। দিল্লিতে পরিবর্তন আসবে এবং নতুন সরকার হলে আশা করি, হামাগুড়িবাবু ঢুকবেন না।”

মমতার বক্তব্যে স্পষ্ট হয় যে তিনি ভারতের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন এবং তাদের অধিকারের জন্য লড়াই করছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে তীব্র সমালোচনা করেছেন, বিশেষ করে ওয়াকফ বিলের জন্য তাদের দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য। মমতার এই বক্তব্য ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্কের নতুন মোড়ও নিয়েছে।