জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, “জুলাই আগস্ট আন্দোলনে নারীদের সাহসী ভূমিকা অন্য সবাইকে উৎসাহী করেছিল এবং আন্দোলনকে সফলতার দিকে নিয়ে গিয়েছিল। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পরবর্তীতে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হতে হবে, এটা আমাদের সর্বোচ্চ এজেন্ডা। সরকারকে এ বিষয়ে আমরা আরও কঠোর অবস্থান নেওয়া সহ এবং অধিকতর দায়িত্বশীল হতে হবে।”
পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে নিহত শহীদের কন্যা গণধর্ষণের শিকার কলেজ পড়ুয়া মেয়ে ও পরিবারের সাথে দেখা করে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় এ কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা থেকে মাইক্রোবাসে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে যান তিনি। নাহিদ ইসলামের সফরসঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, যুগ্ম সমন্বয়ক হান্নান মাসুদ, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা, যুগ্ম সদস্য সচিব তামিম আহমেদ ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সদস্য সচিব জাহিদ হাসান।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এ ঘটনাই নয়, এ ধরনের ঘটনা রোধ করার জন্য কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। সরকার আইন পরিবর্তনের জন্য যে চিন্তাভাবনা বা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন হয়। তিনি পটুয়াখালীর পাঙ্গাশিয়া গ্রামে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শহীদ পরিবারের কন্যার গণধর্ষণের ঘটনার নিন্দার পাশাপাশি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জড়িত অন্য ধর্ষণকারীর গ্রেফতারের দাবি জানান।
প্রেস ব্রিফিং শেষে নাহিদ ইসলাম জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন এবং ভুক্তভোগী পরিবারকে সহায়তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। পরে, তিনি সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং আগামী দিনে সংগঠনের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করেন।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুমকি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া গ্রামে নিহত পিতার কবর জিয়ারত শেষে নানা বাড়ি যাচ্ছিলেন ভুক্তভোগী কিশোরী। এ সময় একই এলাকার মুন্সিবাড়ির কাছে পৌঁছলে স্থানীয় মৃত মামুন মুন্সীর ছেলে সাকিব মুন্সী (১৭) ও সোহাগ মুন্সীর ছেলে সিফাত মুন্সী (২০) ওই কিশোরীকে হাত-পা চেপে ধরে সড়কের পাশের একটি নির্জন বাগানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।
এ সময় ওই দুই যুবক ধর্ষণের ভিডিও তাদের মোবাইলে ধারণ করে মুখ বন্ধ রাখতে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ছেড়ে দেয় কিশোরীকে। পরবর্তীতে গত বুধবার কিশোরী থানায় গিয়ে ঐ দুই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা করলে পুলিশ সাকিব মুন্সীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। অন্য ধর্ষণকারী সিফাত মুন্সী পলাতক রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।