ঝালকাঠিতে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দুই বিচারক হত্যা দিবস পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকালে ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বর থেকে একটি শোক র্যালি বের করা হয়।
র্যালিটি পূর্ব চাঁদকাঠি জজ কোয়াটার সড়কে নির্মিত দুই বিচারকের স্মৃতিস্তম্ভে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে দুই বিচারকের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন জেলা ও দায়রা জজ রহিবুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ ইমরান ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি শাহাদাত হোসেন। ওই সময় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের জেলা জজ এমএ হামিদ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আমিনুল ইসলাম, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক পারভেজ শাহরিয়ারসহ আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।পরে জেলা জজ আদালতে বিচারক সোহেল-জগন্নাথ স্মৃতি মিলানায়তনে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণসভা।
২০০৫ সালের এদিনে জঙ্গিরা আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়ে ঝালকাঠির সিনিয়র সহকারী জজ সোহেল আহমেদ ও জগন্নাথ পাঁড়েকে হত্যা করে। ঘটনার দিন ১৪ নভেম্বর, বিচারক সোহেল আহমেদ ও জগন্নাথ পাঁড়ে নিজ বাসভবন থেকে বেরিয়ে অপেক্ষমাণ মাইক্রোবাসে ওঠেন। এরপর অন্য এক বিচারককে নিতে মাইক্রোবাসটি থামে কোয়ার্টারের সামনে। চালক তাদের গাড়িতে রেখে ওই বিচারককে আনতে যান। এ সময় সেখানে অপেক্ষমাণ জেএমবির সুইসাইড স্কোয়াডের সদস্য ইফতেখার হাসান মামুন আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ সোহেল আহমেদ এবং বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ জগন্নাথ পাঁড়ের।
আহত অবস্থায় ধরা পড়েন হামলাকারী জেএমবির সদস্য ইফতেখার হাসান মামুন। এরপর দেশব্যাপী তুমুল আলোড়ন তৈরি হলে একে একে আটক হন জেএমবির শীর্ষ নেতারা। ওই মামলায় আদালত ২০০৬ সালের ২৯ মে ৭ জনকে ফাঁসির আদেশ দেন। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় জেএমবির শীর্ষ নেতা শায়খ আব্দুর রহমান ও বাংলাভাইসহ ৭ জঙ্গির ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।