আওয়ামী আমলের বিশেষ ভাবে পালিত দিবস গুলো বাতিল করা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার ১৬ই অক্টোবর ২০২৪ ১২:১৫ অপরাহ্ন
আওয়ামী আমলের বিশেষ ভাবে পালিত দিবস গুলো বাতিল করা হয়েছে

অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে, যার ফলে ১৫ আগস্ট ও ৭ মার্চসহ মোট আটটি জাতীয় দিবস বাতিল করা হচ্ছে। সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।


গত ৭ অক্টোবর, তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন একটি চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। চিঠিতে সংশ্লিষ্ট অনুবিভাগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, শিগগিরই এসব দিবস বাতিলের পরিপত্র জারি করা হবে।


বাতিল হওয়া আটটি দিবসের মধ্যে পাঁচটি শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের জন্ম ও মৃত্যু সংক্রান্ত। এসবের মধ্যে রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন (১৭ মার্চ), শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী (৫ আগস্ট), বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী (৮ আগস্ট), বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী (১৫ আগস্ট) এবং শেখ রাসেল দিবস (১৮ অক্টোবর)।


এছাড়া ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, জাতীয় সংবিধান দিবস (৪ নভেম্বর) এবং স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস (১২ ডিসেম্বর) ও বাতিল করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ইউনেসকো ৭ মার্চের ভাষণকে বৈশ্বিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, এবং ২০২0 সালে এ দিনটিকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করে সরকার।


১৫ আগস্টকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালনের প্রথা দীর্ঘ ইতিহাসের সাক্ষী। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে হত্যার পর এ দিনটিকে শোকের দিনে পরিণত করা হয়, যা বিভিন্ন রাজনৈতিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে বহাল থাকে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আসার পর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এই দিবসের উপলক্ষে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে।


রাজনৈতিক দলগুলো বিশেষ করে বিএনপি, ১৫ আগস্টের জাতীয় শোক দিবস এবং সরকারি ছুটি বাতিলের প্রস্তাব দেয়। পরে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়।


অতীতের অভিজ্ঞতার আলোকে এই সিদ্ধান্ত জনমনে নানা আলোচনার জন্ম দিয়েছে। রাজনৈতিক মহলে এর ফলাফল কি হতে পারে, তা নিয়ে চলছে ব্যাপক জল্পনা। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং এই সিদ্ধান্তের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে সামনে কি ঘটবে, তা এখন দেখার বিষয়।