ভারত থেকে আসলো ২ লাখ ৩১ হাজার ডিম, বাজারে স্থিতিশীলতার আশা

নিজস্ব প্রতিবেদক
জেলা প্রতিনিধি, যশোর
প্রকাশিত: সোমবার ৯ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:৩৫ অপরাহ্ন
ভারত থেকে আসলো ২ লাখ ৩১ হাজার ডিম, বাজারে স্থিতিশীলতার আশা

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ২ লাখ ৩১ হাজার ৪০টি ডিম আমদানি করা হয়েছে। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এই ডিমের চালান ভারতের পেট্রাপোল বন্দর হয়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। রাতেই এসব ডিম বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে খালাস করা হয়, যা দেশের বাজারে দ্রুত পৌঁছানোর জন্য প্রেরণ করা হবে।


ডিমের বাজারে অস্থিতিশীলতা রোধ এবং ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটানোর জন্য সরকার ভারত থেকে ডিম আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে। দেশের বাজারে ডিমের দাম বাড়তে থাকায় এবং সরবরাহ কমে যাওয়ার ফলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বেড়ে গিয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষ থেকে ভারত থেকে ৫০ লাখ ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। এর আগে ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর প্রথমবারের মতো ভারত থেকে ডিম আমদানি হয়েছিল, তখন প্রথম চালানে ৬১ হাজার ৮৫০টি ডিম দেশে এসেছিল। এবার দ্বিতীয় চালানে ২ লাখ ৩১ হাজার ৪০টি ডিম আমদানি হলো।


বেনাপোল বন্দরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ডিমগুলো দ্রুত দেশের বিভিন্ন স্থানে বিতরণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে, যাতে করে বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধি পায় এবং দাম কিছুটা হলেও স্থিতিশীল হয়। সরকারের এই উদ্যোগে ডিমের মূল্য কিছুটা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা সাধারণ জনগণের জন্য স্বস্তির বিষয় হতে পারে।


ডিম আমদানির এই উদ্যোগটি দেশের ডিমের বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কেবল আমদানির উপর নির্ভর করে সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়। দেশের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়াতে এবং উৎপাদনকারীদের যথাযথ সহায়তা প্রদান করতে হবে, যাতে দেশের ডিমের বাজার স্থিতিশীল থাকে এবং আমদানি নির্ভরতা কমানো যায়।


এদিকে, ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারের এই ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানালেও বিশেষজ্ঞরা জোর দিয়েছেন দেশের ডিম উৎপাদন শিল্পের উন্নয়নের ওপর। তাদের মতে, দেশীয় উৎপাদনকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে টেকসই এবং স্থিতিশীল বাজার ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব।


ভারত থেকে এই ডিম আমদানির মাধ্যমে ডিমের বাজারে সাময়িক স্বস্তি আসতে পারে, তবে দেশের ভোক্তাদের জন্য এটি একটি স্থায়ী সমাধান নয়। ভবিষ্যতে এই ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থায় সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।