প্রকাশ: ৩ ডিসেম্বর ২০২০, ৫:১৪
ঢাকার কুখ্যাত কলঙ্কিত ভূমি দস্যুদের অভয়ারণ্য ও স্বর্গরাজ্য গাজীপুর জেলা প্রশাসনের নিরবতায় অসংখ্য পরিবার নিঃস্ব ও সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে৷ঢাকার কুখ্যাত ও কলঙ্কিত ভূমি দস্যু, আলোচিত দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রকারী এবং বহু অপকর্মের হোতা পার্টেক্সের এম.এ হাসেম এবং তার বড় ছেলে আজিজ আল কায়সার ও তার চক্র।ঢাকার গুলশান এলাকায় ক্যাসিনো ব্যবসা, মাদক ও হিরোইন ব্যবসার অন্যতম কর্ণধার।জালজালিয়াতির অপকৌশলে জাল দলিল তৈরী করে রাতের অন্ধকারে হাজার হাজার বিঘা জমি জবরদখল করায় শত শত পরিবার আজ নিঃস্ব ও সর্বশান্ত হয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছে।দীর্ঘদিন প্রশাসন সহ বিভিন্ন দরজায় কড়া নেড়েও কোনো সু-বিচার পাচ্ছেন না বলে দাবী করেছেন ক্ষতিগ্রস্থরা। প্রশাসন নির্বিকার ও নিস্ক্রিয় থাকায় সংঘবদ্ধ ভূমি দস্যুদের স্বর্গরাজ্য ও অভয়ারণ্য আজকের গাজীপুর জেলা।
তারা উচ্চ আদালতে আপিল করলে উচ্চ আদালত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে রায় বহাল রাখেন এবং হাসেম গংদের রীটপিটিশন খারিজ করে দেন। অথচ গাজীপুর প্রশাসন অদ্যাবধি কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। উল্টো হাসেম গংরা হৃদয় ইসলাম বাবুকে রায়ের দিন গুলি করলে পায়ে গুলি লাগে। যার দায়েরকৃত জিডি নং-১৫০৩, তাং-২১/০৭/২০১১। বর্তমানে হৃদয় ইসলাম মালিক গং প্রিন্স ড. মূসা বিন শমশেরের নিকট রেজিষ্ট্রী বায়নানামা দলিল নং-৪২৭৩, তাং-১৭/০৬/২০২০ ইং এবং অপরিবর্তনীয় আমমোক্তার নামার মাধ্যমে বিক্রি করায় প্রিন্স মূসা বিন শমশের উক্ত ভূমির মালিক হওয়া স্বত্বেও ২২ বছর যাবৎ এই ভূমি দস্যুদের কবলে থাকায় প্রকৃত মালিকদের হাতে হস্তান্তর করা যায়নি।
আর যার অবিস্মরনীয় মেধা, অক্লান্ত পরিশ্রম ও একক ভাবে প্রচুর অর্থ ব্যয় করে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশীদের জন্য শ্রমবাজার সৃষ্টি করেছেন, যার হাত ধরে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ শুরু হয়, যার দীর্ঘমেয়াদী অভূতপূর্ব বলিষ্ঠ উদ্যোগের ফলশ্রুতিতে দেশে আজ বৈদেশিক মুদ্রার রেকর্ড পরিমান রিজার্ভ এবং প্রবাসীদের পাঠানো অর্থে আজ গ্রাম গঞ্জে প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই পাকা বিল্ডিং তৈরী হয়েছে। যার সর্ম্পূণ কৃতিত্ব ড. মূসা বিন শমশেরের এই কারণে তাঁকে আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি বলা হয়ে থাকে।
যার ঋনের বোঝা বইতে হবে এই জাতিকে অনন্তকাল। আর সেই মহান ব্যক্তির জমি জবর দখল করে রাখবে ভূমি দস্যুরা প্রশাসনের চোখের সামনে ইহা কখনই মেনে নেওয়া যায় না। প্রিন্স মূসা বাংলাদেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তাই তিনি প্রশাসনের উপরে নির্ভর করে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করছেন বলে জানা যায় ।জানা যায়, হাসেমের বড় ছেলে ১৫ মাস জেল খেটে জামিনের ছাড়া পেয়ে পুনরায় জবর দখলের নিত্যনতুন পায়তারা ও হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা থাকলেও তা নিয়ে দিয়ে ফেরারী অবস্থায় নানাবিধ অপরাধ মূলক অপকর্মে লিপ্ত আছে।