ঠাকুরগাঁওয়ে বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে পাক হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় দিবসটি উপলক্ষে একটি বিজয় শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা পরিষদ ডাক বাংলোয় বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পমাল্য অর্পন করা হয়।দুপুর ১১ টায় সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় বড় মাঠে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ইউনিট কমান্ডের আয়োজনে ও জেলা আ’লীগের সহযোগিতায় অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি আ’লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশেষ অতিথি জেলা প্রশাসক ড. কে. এম. কামরুজ্জামান সেলিম, পুলিশ সুপার মোহা: মনিরুজ্জামান (পিপিএম), জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি মাহাবুবুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ জুলফিকার আলী , সদর উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. অরুনাংশু দত্ত টিটো, সাধারণ সম্পাদক মোশারুল ইসলাম সরকার, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বদরুদ্দোজা বদরসহ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও জেলা আ’লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতা কর্মীবৃন্দ। পরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে সঙ্গীতানুষ্ঠান এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান শেষে বর্ণিল আতশবাজির আয়োজন করা হয়। এর আগে রাত ১২ টা ১ মিনিটে শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আলোক প্রজ্জোলন করা হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের পর ৩ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত হয় ঠাকুরগাঁও।ঠাকুরগাঁও মহকুমায় মুক্তিযোদ্ধাদের মরণপণ লড়াই আর মুক্তিকামী জনগণের দুর্বার প্রতিরোধের মুখে পতন হয় পাকবাহিনীর।ঠাকুরগাঁও এলাকার সর্বত্রই পাকিস্তানীদের পতনের পর ছড়িয়ে পড়ে মুক্তির উল্লাস। লক্ষ লক্ষ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সংবর্ধনা আর জয় বাংলার ধ্বনি শুনে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন তারা। উড়িয়েছিলেন স্বাধীন বাংলার পতাকা এই জেলার মাটিতে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।