দূর্গাসাগরে পরিযায়ী পাখিদের খাদ্য নিশ্চিতের উদ্যোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
এম. কে. রানা - বার্তা প্রধান ইনিউজ৭১
প্রকাশিত: বুধবার ১৮ই নভেম্বর ২০২০ ০২:৩৬ অপরাহ্ন
দূর্গাসাগরে পরিযায়ী পাখিদের খাদ্য নিশ্চিতের উদ্যোগ

বরিশালের ঐতিহ্যবাহী দূর্গাসাগরে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি আসছে। অতিথি পাখিদের কলকাকলিতে মুখর দূর্গাসাগর। প্রায় একযুগ পর হাজারো মাইল পাড়ি দিয়ে প্রজননের জন্য ছুটে আসা অতিথি পাখির খাবারের চাহিদা পূরণ করতে জেলা প্রশাসক গ্রহণ করেছে অভিনব কৌশল। বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করে দীঘির জলে ও পাড় ঘেঁষে প্রায় ৫০ হাজারের অধিক শামুক ঝিনুক ছাড়া হয়েছে। ফলে শীত মৌসুমে আগত অতিথি পাখি এবং হাসের খাবারের চাহিদা পূরণ হবে। এতে সার্বিক সহযোগিতা করেন উজিরপুর ও বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন। খাদ্যের অভাবে যেন অতিথি পাখির প্রজননে কোনরূপ বাঁধা সৃষ্টি না হয় এবং তারা যেন এখান থেকে চলে না যায় সেজন্যই এ অভিনব উদ্যোগ করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে। জেলা প্রশাসক এস.এম. অজিয়র রহমান জানান, দুর্গাসাগরে ভারসাম্যপূর্ণ ইকোসিস্টেম তৈরি করার জন্য সংযুক্ত করা হয়েছে শামুক, ঝিনুক।  

জেলা প্রশাসক এস.এম অজিয়র রহমান বরিশালে যোগদানের পর থেকেই জেলা উন্নয়ন ও সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে নানাবিধ কর্মসূচী গ্রহণ করেছেন। বিশেষ করে জেলার পর্যটন স্পট সমূহের উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন স্পট ঐতিহ্যবাহী দুর্গাসাগর দীঘিকে আকর্ষণীয় করে গড়ে তুলতে ইতোমধ্য নানাবিধ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। দুর্গাসাগরের মধ্যবর্তী দ্বীপকে আরো বেশি দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয় করে সাজানোর জন্য রোপণ করা হয়েছে দেশীয় নানা প্রজাতির বাঁশ এবং বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের গাছ। ফুল গাছের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে দ্বীপের চারপাশের জলরাশিতে শাপলা এবং দ্বীপের মাঝে নানা রঙ্গের পদ্ম, গাদা, কলাবতী, হাসনা-হেনাসহ নানা ধরণের শীতকালীন ফুল। 

এছাড়াও, দীঘির জলে অবমুক্ত করা হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, দীঘির জলে খেলা করছে পদ্মের পাশাপাশি লাল সাদা শাপলা, বাহারি নৌকা, দ্বীপের মাঝে ফুলের বাগান, সদ্য নির্মিত ডিসি মঞ্চ, পিকনিক স্পট। বর্তমানে নির্মাণাধীন রয়েছে শিশুদের জন্য শিশু পার্ক এবং দক্ষিণ বাংলার কৃষক কুলের নয়ন মনি শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত এর নামে রেস্টহাউজ।প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় সিডরের পরে দুর্গাসাগর দীঘিতে প্রায় এক যুগ পর পরিযায়ী অতিথি পাখির দেখা মিলেছে।

দুর্গাসাগরে পরিযায়ী পাখির পাশাপাশি দেখা মিলছে দেশি প্রজাতির হাস, রাজা হাস, দেশি-বিদেশি প্রজাতির পাখি, বানর, শতাধিক কবুতর, হরিণ। বিষয়টি জানতে পেরে প্রতিদিন পাখি দেখতে ছুটে যাচ্ছেন বিভিন্ন বয়সের প্রকৃতি ও পাখি প্রেমী মানুষ।জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, খুব শীঘ্রই বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গৃহীত উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু করা হবে।