দিনাজপুরের হাকিমপুর প্রেসক্লাবে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে সংবাদ সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বেলা ১২ টায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সন্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জয়পুরহাট সদরের দস্তগীর ফাররোখ। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমরা এক সময় হাকিমপুরের বাসিন্দা ছিলাম। সেসময় বাংলাহিলি বাজারে আমরা ৬ ভাই যথাক্রমে- আলমগীর ফাররোখ, জাহাঙ্গীর ফাররোখ, দস্তগীর ফাররোখ, মোস্তাকিম ফাররোখ,
মোজাদ্দেদ ফাররোখ ও মোজাহেদ ফাররোখ ৮ মে/ ১৯৫৭ সালে জেএল নং-৬৮, খতিয়ান নং-সি.এস-১৪৬ এবং এসএ-২০৯, ৬৮১ দাগে ১৮ শতক জমি ( পুকুর) ক্রয় করি। দীর্ঘদিন ধরে আমরা পুকুরটি দেখভাল করে আসছি। গত ১৯ জুন/ ২০১৯ সালে জানতে পারি যে, শামছুল হুদা খান আমাদের জায়গাটি ২২ মার্চ/ ১৯৬৮ সালে ভূয়া দলিল সৃষ্টি করেছেন। বিষয়টি আমরা হাকিমপুর উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, পৌর ভূমি অফিস ও ওসিকে অবহিত করি। কিন্তু তারপরও জাল দলিল সৃষ্টিকারী শামছুল হুদা খান আমাদের ফোনের মাধ্যমে আমাদের জায়গায় না যাওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছেন। এ বিষয়ে তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সংবাদ সন্মেলনে ৬ ভাই আলমগীর ফাররোখ, জাহাঙ্গীর ফাররোখ, দস্তগীর ফাররোখ, মোস্তাকিম ফাররোখ, মোজাদ্দেদ ফাররোখ ও মোজাহেদ ফাররোখ উপস্থিত ছিলেন। এদিকে শামছুল হুদা খান জাল দলিল সৃষ্টির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি জানান, তারা ৬ ভাই নাবালক থাকাকালীন তাদের পিতা ফাররোক মোঃ সাহাদৎ হোসেন ১৯৬৮ সালে দলিলমূলে তাদের কাছে বিক্রি করেছেন। তখন থেকেই জমিটি আমাদের দখলে রয়েছে। দীর্ঘ ৫২ বছর পর ফাররোক মোঃ সাহাদৎ হোসেনের ৬ ছেলে জায়গাটি নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছেন। কাজেই জাল দলিল সৃষ্টির অভিযোগটি সত্য নয়। তারা আমার বিরুদ্ধে বিভান্ত ছড়াচ্ছেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।