টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বিভিন্ন হাটবাজারে সব ধরনের শাকসবজিসহ নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্ন আয় ও সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন সবজি। সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের সবজির কেজিতে দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। কিছু সবজির দাম ১০০ টাকা ছুঁই ছুঁই। এখনও স্বস্তিতে নেই কাঁচাবাজার। যেন সবজির বাজারে আগুন লেগেছে!
বিভিন্ন হাটবাজারে পেঁয়াজ, আলু, ডাল, কাঁচামরিচ, শাক-সবজি ও ভোজ্যতেলসহ বাজারদর কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে না। বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার একদম বাইরে চলে যাচ্ছে। এতে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোকে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। আলুসহ সব ধরনের সবজির দাম উর্ধ্বগতি হওয়ায় নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়ছে। মানুষ বাজারে এসে সবজির দাম শুনে মাথায় হাত দিচ্ছেন। এছাড়া রান্নার অপরিহার্য মসলার দামও অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী হাটসহ বিভিন্ন ছোট-বড় বাজারে গিয়ে দেখা যায়, গত কয়েক দিন ধরে পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৭৫ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ কিছু দিন আগেও প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হতো ৫০-৫৫ টাকা। প্রতি কেজি আলু ৩৫ টাকা থেকে বেড়ে ৫০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। শাকসবজির মধ্যে- শিম প্রতি কেজি ১৩০ টাকা, কাঁচামরিচ ১৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঝিঙ্গা ৭০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, বেগুন ৬০-৭০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, টমেটো ১৩০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০-৬০ টাকা, কচুর লতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৩০ টাকা, ফুলকপি ১০০ টাকা, বাঁধাকপি ৭০ টাকা, মুখী ৫০ টাকা, ধনিয়াপাতা ২০০ টাকা, লাউ প্রতি পিছ ৫০-৬০ টাকা, মুলার শাক প্রতি আঁটি ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সবজি ব্যবসায়ী শফিকুল, রফিক ও মাসুদ বলেন, এবার আমাদের এলাকায় দফায় দফায় বন্যা আর অতি বৃষ্টিপাতের ফলে চরাঞ্চলের সব ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গিয়েছিল। তাই সবজির আবাদ কম হওয়ায় বাজারে সবজির ঘাটতি দেখা দিয়েছে। সামনে কয়েকদিন পরে শীতের সবজি নামলে দাম কমে আসবে আশা করছি।
গোবিন্দাসী হাটে বাজার করতে আসা কোরবান, জাহিদ ও মামুন বলেন, বর্তমানে যে হারে চাল, ডাল আটা, পেঁয়াজ, মরিচ, আদা, রসুন, আলু, বেগুন, পটল ও শাকসবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের দাম বেড়েছে তাতে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাদের অভিযোগ একটি মহল সিন্ডিকেট করে আলুর দাম বাড়িয়েছে। অন্যদিকে ভূঞাপুরের সাধারন মানুষ টিসিবির পণ্য বিক্রির জোর দাবী জানিয়েছেন।এ ব্যাপারে ভূঞাপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আসলাম হোসাইন জানান, আমরা বাজার মনিটরিং করছি এবং তা অব্যাহত থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।