এম সাইদুর রহমান বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সহযোগিতায় কোরবানির প্রথম দিন ডিএনসিসি এলাকার বিপুল পরিমাণ বর্জ্য সকল ওয়ার্ড থেকে ২৪ ঘণ্টার কম সময়ে অপসারণ করা হয়েছে। রোববার (২ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় গত ২৪ ঘণ্টায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জানাতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
কমডোর এম সাইদুর রহমান বলেন, ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও পিডব্লিওসিএসপি কর্মীরা পশু জবাইয়ের স্থান এবং বাসাবাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে এসটিএস ও কন্টেইনারে জমা করে প্রতিটি ওয়ার্ডকে বর্জ্যমুক্ত করেছেন। তিনি বলেন, ঢাকা উত্তরে ২৫৬টি পশু জবাইয়ের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল। সিটি কর্পোরেশন থেকে বিভিন্ন সুবিধাদি বিশেষ করে কোরবানির মাংস বাসায় পৌঁছে দেয়ার কারণে আগের তুলনায় অনেকে উৎসাহিত হয়ে নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি দিয়েছেন। তবে আগামী বছর প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন অনুযায়ী মেয়র গাবতলীতে একটি অত্যাধুনিক স্লটার হাউজ নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন।
গতকাল বিকেল ৫টা থেকে রাত্র ১০টার মধ্যে ৩১, ২৭, ৮, ১, ১৭, ১৯, ২০, ২৮, ২৯, ৩০, ৩২, ৩৩, ৯, ১০, ১১, ৩৯, ৪০, ৪১, ৫২, ৫৩ ও ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তাদের নিজ নিজ ওয়ার্ড বর্জ্যমুক্ত ঘোষণা করেছেন জানিয়ে এম সাইদুর রহমান বলেন, এরপর ক্রমান্বয়ে অন্যান্য ওয়ার্ডকেও বর্জ্যমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এ বছর কোরবানি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা তদারকিতে কী কী পরিলক্ষিত হয়েছে? এ বিষয়ে ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা বলেন, অনলাইন ডিজিটাল পশু বেচাকেনা ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। জনগণ আগের চেয়ে সচেতন ও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। বর্জ্য ব্যাগ, ব্লিচিং পাউডার এবং স্যাভলন ব্যবহার বেড়েছে সেই সঙ্গে একটি বিশেষ অ্যাপস তৈরি করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মনিটরিং করা হয়েছে।
এদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৭৫টি ওয়ার্ডেই কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারিত হয়েছে বলে দাবি করেছে সংস্থাটি। এছাড়া আজকের (২ আগস্ট) কোরবানির পশুর বর্জ্য আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে অপসারিত হবে বলে জানিয়েছেন ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের। তবে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পুরান ঢাকার বিভিন্ন রাস্তাঘাটে এখনও পশুর বর্জ্য পড়ে থাকতে দেখা গেছে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ছোটবড় গাড়ি ও ময়লার ডাস্টবিন নিয়ে বর্জ্য অপসারণের কাজ চালিয়ে গেলেও বিভিন্ন স্থানে বর্জ্য পড়ে থাকতে দেখা যায়।