বরিশালে আন্তঃজেলা চোরচক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে বরিশাল থেকে চুরি হওয়া দুটিসহ চারটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।রোববার (১২ জুলাই) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ খায়রুল আলম।সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ববিএমপি উত্তর বিভাগের আওতাধীন এলাকা থেকে কয়েকটি মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগ থানায় লিপিবদ্ধ হয়। যার সূত্র ধরে পুলিশ সদস্যরা তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলো।
সর্বশেষ গত ১০ জুলাই সোর্সের দেয়া তথ্যানুযায়ী বরিশাল নগরের পলাশপুর ইসলাম নগর এলাকার বাসিন্দা মোঃ জসিম উদ্দিন (২৭) কে আটক করে কাউনিয়া থানা পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় গত ২১ জুন কাউনিয়া থানাধীন পেছনের স্কুল সংলগ্ন বাসা থেকে চুরি হওয়া সুজুকি কোম্পানির একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়। যে ঘটনায় কাউনিয়া থানায় একটি মামলাও রয়েছে। ওই মোটরসাইকেলটি খুলনা থেকে এসে অহিদ মোল্লা ও রাজু ওরফে কালা রাজু চুরি করে নিয়ে যায়। যেটি খুলনা জেলার তেরখাদা থানা এলাকার একটি গ্যারেজে আছে।
জসিমের দেয়া তথ্যানুযায়ী পুলিশের একটি টিম ১১ জুলাই খুলনা জেলার তেরখাদা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে সুজন বৈদ্য (২৭) কে আটক করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে জসিম ও সুজনের দেয়া তথ্যানুযায়ী সুজুকি কোম্পানির চুরি হওয়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়।পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে কাউনিয়া থানায় লিপিবদ্ধ জানুয়ারী মাসের অপর একটি চুরি মামলার মোটরসাইকেলের তথ্য পায় পুলিশ। যে তথ্যের ওপর ভিত্তি করে গোপালগঞ্জ জেলার হরিদাসপুর এলাকা থেকে মাসুদ রানা এবং শ্রাবন সরদার ওরফে সুমনকে আটক করা হয়।
উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ খায়রুল আলম জানান, আটককৃত মাসুদ রানা ও শ্রাবন সরদারকে জিজ্ঞাসবাদ করে তাদের দেয়া তথ্যানুযায়ী যশোর জেলার অভয়নগর থানার আকুঞ্জিপাড়া গ্রামে অভিযান চালানো হয়। ওই গ্রাম থেকে বরিশাল থেকে জানুযারি মাসে চুরি হওয়া বাজাজ কোম্পানির পালসার-১৫০ সিসি মডেলের কালো-লাল রংয়ের আরেকটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া এ অভিযানে আরো দুটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়, যার মালিকানা নিশ্চিতে তদন্ত চলমান রয়েছে জানিয়ে উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ খায়রুল আলম বলেন, আটককৃতদের কাউনিয়া থানা এলাকা থেকে চুরি হওয়া মোটরসাইকেল দুটির মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।