প্রকাশ: ৭ জুলাই ২০২০, ২:৫৪
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক ইউনিয়নের কামারাঙ্গাচালা, সফিপুর, জামতলা, ভান্নারা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বাসাবাড়ীতে সহস্রধিক গ্যাস সংযোগ নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে দালাল চক্র ও তিতাস গ্যাস চান্সমিশন কোম্পানি চন্দ্রা জোনাল অফিসের এক প্রকার অসাধু কর্মকর্তার যোগ সাজসে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এ অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। আবার বিচ্ছিন্ন অবৈধ গ্যাস সংযোগ নতুন করে দিয়ে অনেক দালাল চক্র কোটিপতি হয়েছে ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সফিপুর পশ্চিমপাড়া, উত্তরপাড়া, পল্লীবিদ্যূৎ, , চন্দ্রা, মৌচাক, রাখালিয়াচালার অনেক এলাকায় পাঁচতলা বিশিষ্ট বাসাবাড়ীতে এ অবৈধ গ্যাস সংযোগ রয়েছে। আবার অনেক বিল্ডিংয়ের মালিক একটি চুলার অনুমোদন নিয়ে ১০-১৫টি অবৈধ চুলার সংযোগ নিয়ে বাসাবাড়ি ভাড়া দিচ্ছে।
মৌচাক শিল্পা লের কামরাঙ্গা চালা এলাকায় ২০১৩ সাল থেকে ওই এলাকার উপজেলার কামারাঙ্গাচালা এলাকায় ইউনুছ ভান্ডারী প্রতিটি গ্রাহকের কাছ থেকে ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেয়। এ সময় ওই এলাকার আব্দুল আজিজ এর দুটি গ্যাসের চোলা, আলাউদ্দিনের ৪টি, রাজ্জাকের ৮টি, মজিবুর টি, ইউনুছ ভান্ডারী ৩টিসহ দুই শতাধিক অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে ব্যবহার করে আসছে। জামতলা এলাকায় আবুল হোসেন এর পাঁচতলার বিশিষ্ট বাসাবাড়ীতে প্রতি তলায় পুরো অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ নিয়ে দীর্ঘদিন ব্যবহার করা হচ্ছে।
অপরদিকে সফিপুর আহম্মদ নগর এলাকার সারোয়ার হোসেনের বাড়ীতেও পাচতলা বিশিষ্ট বিল্ডিংয়েও অবৈধ গ্যাস সংযোগ নিয়েছে। তবে ওই বাড়ীর মালিক দীর্ঘদিন ধরে চুরাই গ্যাস নিয়ে বাসাবাড়ীতে নিয়মিত ব্যবহার করছে। সফিপুর এলাকার বৈধ গ্যাস ব্যবহারকারী গ্রাহক সফিকুল ইসলাম ও মৌচাক এলাকার বাবুল হোসেন জানান, এলাকায় অনেক অবৈধ গ্যাস সংযোগ নেওয়ার কারণে বৈধ গ্যাস ব্যবহারকারীদের মাঝে মধ্যেই দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। অভিলম্বে সকল অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন করার দাবী করা হলো।
তিতাস গ্যাস টান্সমিশন কোম্পানির চন্দ্রা জোনাল অফিসের ম্যানেজার মামুনুর রহমান জানান, উপজেলার যে সকল এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ রয়েছে তা অভিযান চালিয়ে উচ্ছেদ করা হবে। এ রকম কোন এলাকার অবৈধ গ্যাস সংযোগের খবর পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।।